করোনার ফলে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুম। রঞ্জির মতন ঐতিহ্যশালী টুর্নামেন্ট পিছিয়ে গিয়েছে। আইপিএলের মতন ফ্র্যান্ঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আয়োজনের মধ্যে ভারতীয় বোর্ড তাদের মরসুম শুরু করেছে। যদিও আরব আমিরশাহিতে এবছরের আইপিএলের আসর বসেছিল। এবার ঘরোয়া ক্রিকেটকে ২২ গজে ফেরাতে উদ্যোগী হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই।
ডিসেম্বরের ২ তারিখের মধ্যে সমস্ত রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এর কাছ থেকে এই ব্যাপারে মতামত চেয়েছে বিসিসিআই। তাতে আপাতত যে মতামত এসে পৌঁছেছে তাতে জানা গিয়েছে যে বেশিরভাগ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন চাইছে সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের মাধ্যমে ভারতে ফিরুক ক্রিকেট। টি-২০ তে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে বিজয় হাজারে ট্রফির খেলার পক্ষে সওয়াল করেছেন একাধিক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলি।
করোনা পরবর্তীতে বিসিসিআইয়ের তরফে রবিবার সমস্ত অ্যাফিলিয়েটেড অ্যাসোসিয়েশনকে ইমেল মারফত তাদের মতামত জানাতে বলা হয় এই বুধবারের মধ্যে। সেই মেলে চারটি অপশন দেওয়া হয়েছে। চারটি অপশন হল :-
১) শুধুমাত্র রন্জ্ঞি ট্রফি
২) শুধুমাত্র সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি
৩) রন্জ্ঞি এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি দুটোই
৪) শুধুমাত্র একদিনের ট্রফি।
সেই মেলে ঘরোয়া মরসুমের একটি আনুমানিক টাইম ফ্রেম দেওয়া হয়েছে ২০ শে ডিসেম্বর থেকে ১৮ই মার্চ পর্যন্ত। একটি জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সৌরাষ্ট্র, মুম্বই,পঞ্জাব,বরোদা, বাংলা, তামিলনাডু সকলেই বিজয় হাজারে এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির পক্ষে মত জানিয়েছেন। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি করার পরে রঞ্জি করার পক্ষে মত দিয়েছে।
বিসিসিআই টি-২০ টুর্নামেন্ট করার জন্য ২০ শে ডিসেম্বর থেকে ১০ ই জানুয়ারির টাইমফ্রেম সেট করেছেন।৬৭ দিনের রঞ্জি ট্রফির জন্য ভাবা হয়েছে ১১ ই জানুয়ারি থেকে ১৮ ই মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা। বিজয় হাজারের জন্য ভাবা হয়েছে ১১ই জানুয়ারি থেকে ৭ই ফেব্রুয়ারির সময়সীমা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।