ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন ধারাবাহিকতার জন্যই বোধহয় আইপিএল নিলামে রিঙ্কু সিংয়ের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেনি কেকেআর। দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্দরমহলে থাকলেও মাঠে নামার খুব একটা সুযোগ পাননি উত্তরপ্রদেশের অল-রাউন্ডার। বরং বলা ভালো যে কেকেআর কখনই তাঁকে যথাযথ ব্যবহার করেনি।
আদ্যান্ত টিম ম্যান রিঙ্কুকে কার্যত অপ্রয়োজনীয়ই মনে হয়েছিল কেকেআরের। গত মরশুমেই স্কোয়াড থেকে যাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়, মেগা নিলামের আগে তাঁকে রিটেন করবে কেকেআর, এমনটা ভাবা দুঃস্বপ্নেরই সামিল। তবে রিঙ্কু ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফর্ম্যান্স দিয়েই নাইট রাইডার্সকে বাধ্য করলেন তাঁকে দলে ফেরাতে।
গত সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে উত্তরপ্রদেশের হয়ে সব থেকে বেশি ১৮৭ রান করেন রিঙ্কু। ৫ ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৯৩.৫০। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৬.০৯। মুস্তাক আলিতে রিঙ্কু ১১টি ছক্কা হাঁকান।
পরে বিজয় হাজারে ট্রফিতেও উত্তরপ্রদেশের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৭৯ রান করেন রিঙ্কু। ৭ ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং গড় ৯৪.৭৫। ১টি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি।
এবার রঞ্জি ট্রফির শুরুতেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন রিঙ্কু সিং। বিদর্ভের বিরুদ্ধে এলিট জি-গ্রুপের প্রথম ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৬৫ রান করে আউট হন কেকেআর তারকা। ৯৯ বলের ইনিংসে রিঙ্কু ১০টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
মুস্তাক আলি, বিজয় হাজারে ও রঞ্জি ট্রফি মিলিয়ে শেষ ১০টি ইনিংসে রিঙ্কুর ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ১৯, অপরাজিত ৪৪, ৪, ৬৫, ১০৪, অপরাজিত ১, ৭৫, অপরাজিত ৫৮, ৭৬ ও ৬৫। স্বাভাবিকভাবেই এমন ধারাবাহিকতায় আপ্লুত হয়ে এবার আইপিএলের মেগা নিলামে ৫৫ লক্ষ টাকায় রিঙ্কু সিংকে ঘরে ফেরায় কেকেআর।
উল্লেখ্য, বিদর্ভের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম দিনের শেষ উত্তরপ্রদেশ ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৬৮ রান তুলেছে। অক্ষদীপ নাথ ৯১ ও ধ্রুব জুরেল অপরাজিত ৫২ রান করেছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।