দেখে মনে হবে রঞ্জির আসরে আইপিএলের প্রক্টিস সারছেন রিয়ান পরাগ। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্য়াচের দ্বিতীয় ইনিংসে যে রকম ঝড়ের গতিতে রান তোলেন অসমের তরুণ অল-রাউন্ডার, টি-২০ ম্যাচে কেউ সেরকম ইনিংস খেলতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করতেন।
প্রথম ইনিংসে রিয়ান ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ বলে ১০ রান করে আউট হন। অসম ৫৬.৪ ওভারে অল-আউট হয় ২০৫ রানে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৮ বলে ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। দ্বিতীয় দফায় অসম তোলে ৭৫.২ ওভারে ২৫২ রান।
সুতরাং, দ্বিতীয় ইনিংসে রিয়ান দলের সার্বিক ইনিংসের প্রায় ৬ শতাংশ বলের মোকাবিলা করেন। তবে তাতেই দলের ইনিংসে তাঁর অবদান ৩১ শতাংশ রান।
রিয়ানের এমন ঝোড়ো ব্য়াটিংয়ের সুবাদেই অসম ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে ফেলে। যদিও এক্ষেত্রে তাঁর বোলিংয়েরও বড়সড় ভূমিকা রয়েছে। অসমের ২০৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ২০৮ রান। রিয়ান ৪৮ রানে ৪টি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামা অসম ২৫২ রান তোলার পরে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৫০ রানের। তৃতীয় দিনের শেষে হায়দরাবাদ তাদের শেষে ইনিংসে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২২৮ রান তোলে। সুতরাং, ম্যাচের চতুর্থ তথা শেষ দিনে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের দরকার ২২ রান। ম্যাচ জিততে অসমের প্রয়োজন একটি মাত্র উইকেট।
অসমের হার-জিতের মাঝে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে হায়দরাবাদ দলনায়ক তন্ময় আগরওয়াল। তিনি ইনিংসের ওপেন করতে নেমে দুর্দান্ত শতনার করে অপরাজিত থাকেন। ১২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৫৪ বলে ১২৩ রান করেছেন তন্ময়।
এছাড়া শেষ ইনিংসে হায়দরাবাদের হয়ে রোহিত রায়াড়ু ২০, ভবেশ শেঠ ৪১ ও রাহুল বুদ্ধি ২৮ রান করেন। রিয়ান পরাগ দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন। সুতরাং, দুই ইনিংস মিলিয়ে ইতিমধ্যেই ৭টি উইকেট নিয়েছেন পরাগ।