বাংলার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশ একসময় ৯৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। সেখান থেকে মধ্যপ্রদেশের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান হিমাংশু মন্ত্রী। দুর্দান্ত শতরান করে তবেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
এবার পালটা ব্যাট করতে নেমে একসময় ৫৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলা। সেখান থেকে ব্যাট হাতে দলকে নির্ভরতা দেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। সুতরাং বলাই যায় যে, মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর দুর্দান্ত ইনিংসের পালটা জবাব দিচ্ছেন বাংলার মন্ত্রীমশাই। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে রাজায়-রাজায় যুদ্ধ নয়, বরং রঞ্জি সেমিফাইনালে জমে উঠেছে দুই মন্ত্রীর লড়াই।
আলুরে প্রথম দিনের ৬ উইকেটে ২৭১ রানের পর থেকে ব্যাট করতে নেমে মধ্যপ্রদেশ দ্বিতীয় দিনে তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৪১ রানে। হিমাংশু ১৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩২৭ বলে ১৬৫ রান করে মুকেশের বলে আউট হন। ৩৩ রান করেন পুনিত।
বাংলার হয়ে প্রথম ইনিংসে মুকেশ ৬৬ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। ৮৬ রানে ৩ উইকেট পকেটে পোরেন শাহবাজ আহমেদ। ৭৩ রানে ২টি উইকেট নেন আকাশ দীপ। ৫০ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন প্রদীপ্ত প্রামানিক।
আরও পড়ুন:- Ranji Trophy Live- মনোজ-শাহবাজের অনবদ্য লড়াই, ফের স্বপ্ন দেখছে বাংলা
পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলা শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। অভিষেক রামন ও সুদীপ ঘরামি খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। ২২ রান করেন ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। ৪ রান করে আউট হন অনুষ্টুপ মজুমদার। অভিষেক পোড়েল ৯ রান করে সাজঘরের পথে হাঁটা লাগান।
শাহবাজ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মনোজ তিওয়ারি। দিনের শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছেদ্য থেকে দু'জনে যোগ করেন ১৪৩ রান। ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন দুই তারকাই। মনোজ ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮২ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। শাহবাজ আহমেদ ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪৯ বলে ৭২ রান করে নট-আউট থাকেন।
বাংলা দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করেছে। সুতরাং, মধ্যপ্রদেশের থেকে এখনও ১৪৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে তারা। এমপির হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কুমার কার্তিকেয়া ও পুনিত। ১টি উইকেট নিয়েছেন সরাংশ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।