রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেকেই ইতিহাসের পাতায় নাম তুললেন যশ ধুল। তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে রঞ্জিতে অভিষেক ম্যাচেই দুই ইনিংসে শতরান হাঁকালেন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক। যে নজির নেই সচিন তেন্ডুলকর, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মতো ভারতীয় ক্রিকেটের তারকাদেরও।
গুয়াহাটিতে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১১৩ রান করেন ইয়াস। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই ছন্দ ধরে রাখেন। তাঁকে তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি তামিলনাড়ুর বোলাররা। নিজের স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে থাকেন ধুল। দেখে মনেই হচ্ছিল না যে এটাই রঞ্জিতে ধুলের অভিষেক ম্যাচ। ক্রমশ নিজের শতরানের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। শেষপর্যন্ত শাহরুখ খানের বলে চার মেরে ২০০ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক।
আগে কোন কোন খেলোয়াড়রা রঞ্জি অভিষেকেই দুই ইনিংসে শতরান নজির গড়েছিলেন?
১) ১৯৫২-৫৩ মরশুমে রঞ্জি অভিষেকে গুজরাতের হয়ে জোড়া শতরান করেছিলেন নরি কন্ট্রাক্টর। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৫২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন অপরাজিত ১০২ রান।
২) ২০১২-১৩ মরশুমে মহারাষ্ট্রের ব্যাটার বিরাগ আওয়াতে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে সেই নজির গড়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ১২৬ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১১২ রান।
রঞ্জিতে দিল্লির কোন কোন খেলোয়াড় একই ম্যাচের দুই ইনিংসে শতরান করেছেন?
মনসুর আলি খান পতৌদি, সুরিন্দর খান্না, মদন লাল, অজয় শর্মা, রমন লাম্বা, ঋষভ পন্ত এবং যশ ধুল।
ধুল জোড়া শতরান করলেও দিল্লি-তামিলনাড়ু ম্যাচ ড্র হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সম্ভবত ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়কের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন দিল্লির অধিনায়ক প্রদীপ সাঙ্গওয়ান। যে ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৪৫২ রান তুলেছিল দিল্লি। জবাবে শাহরুখ খানের ১৯৪ রান এবং বাবা ইন্দ্রজিতের শতরানের সৌজন্যে ৪৯৪ রান তোলে তামিলনাড়ু। ফের ব্যাট করতে নেমে আপাতত দিল্লির স্কোর বিনা উইকেটে ২০৭ রান। যদিও এখন হাত মেলাননি দু'দলের অধিনায়ক।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।