আফগানিস্তানে এখন আগুন জ্বলছে। চলছে হত্যালীলা। তালিবানদের চরম অত্যাচারে রক্তে রাঙা আফগানিস্তান। এই পরিস্থিতি দেশের জন্য, পরিবারের জন্য মন কাঁদছে রশিদ খানের। কিন্তু দেশে ফেরার উপায় নেই। কারণ তালিবানদের ফতোয়ার জেরে, এখন কেউ আফগানিস্তানে ঢুকতে পারছেন না।
অগত্যা ইংল্যান্ডের হয়ে হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে খেলে চলেছেন রশিদ। তার মাঝেই দেশের প্রতি নিজের ভালবাসা দেখাতে পিছপা হচ্ছেন না তিনি। কখনও জাতীয় পতাকায় চুমু খেয়ে, আবার কখনও বা দু'গালে জাতীয় পতাকার ছবি এঁকে ২২ গজে নমে পড়ছেন রশিদ খান।
১৯ অগস্ট দেশের 'স্বাধীনতা দিবস'এর দিন জাতীয় পতাকায় চুমু খাওয়ার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন রশিদ খান। সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘আজ কিছুটা সময় নিয়ে দেশের মূল্যবোধকে যাচাই করুন। দেশের জন্য যাঁরা প্রাণ বিসর্জন করেছেন, তাঁদের কথা ভুলে গেলে চলবে না। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি, আমরা যেন একটি শান্তিপূর্ণ এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।’
এর আগেই দেশের তালিবান শাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন রশিদ খান। একটি টুইটার পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রিয় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। আমার দেশ আজ প্রচণ্ড অশান্ত হয়ে রয়েছে। শিশু এবং মহিলাসহ দেশের হাজার হাজার নিষ্পাপ জনগণ প্রতিদিন শহিদ হচ্ছেন। ঘরবাড়ি এবং সম্পত্তি প্রতিনিয়ত ধ্বংস করা হচ্ছে। বহু পরিবারকে স্থানান্তর করা হয়েছে... আমাদের এই দুঃসহ পরিবেশ থেকে উদ্ধার করুন। আফগানদের হত্যা বন্ধ করুন। আমরা শান্তি চাই।’
এ বার তিনি দু'গালে জাতীয় পতাকার ছবি এঁকে মাঠে নামলেন। শুক্রবার ট্রেন্ট রকেটসের হয়ে খেলতে নেমে দেশে শান্তি ফিরুক, এই বার্তা নিয়েই দু'গালে আফগানিস্তানের পতাকা এঁকে ২২ গজে নেমেছিলেন রশিদ খান। রশিদের এই বার্তাকে ঘিরে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটে।
আফগানিস্তানের দুই ক্রিকেটার রশিদ খান এবং মহম্মদ নবির আসন্ন আইপিএলে অংশ নেওয়ার কথা। তবে তাঁরা কী ভাবে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বা কী পরিস্থিতি গড়াবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গিয়েছে। দুই ক্রিকেটারই এখন ইংল্যান্ডে দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্ট খেলছেন। বিসিসিআই পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।