বাংলা নিউজ > ময়দান > এই ধরনের নতুন কোচদের কিছু জানাবে না, চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন শ্রীধর

এই ধরনের নতুন কোচদের কিছু জানাবে না, চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন শ্রীধর

ভরত অরুণের সঙ্গে রবি শাস্ত্রী

শ্রীধর তাঁর বই কোচিং বিয়ন্ড-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছেন। ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন তেমনই এক তথ্য তুলেন ধরলেন শ্রীধর। 

ভরত অরুণ, সঞ্জয় বাঙ্গার, বিক্রম রাঠোর, আর শ্রীধর এবং রবি শাস্ত্রী ভারতীয় দলের কোচের ভূমিকায় থাকাকলীন দলকে অনেক সাফল্য এনে দেন। যদিও সেই সময় ভারত কোনও আইসিসি ট্রফি জিততে পারেনি। তবে দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শাসন করে মেন ইন ব্লু। এই কৃতিত্ব অর্জনের জন্য অন্যতম প্রধান কারণ ছিল ক্রিকেটার এবং কোচেদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা। তবে শ্রীধরের সেই জায়গা করে নিতে সময় লেগেছিল বলে তিনি প্রকাশ করেছেন কোচিং বিয়ন্ড'-এ মাই ডেস উইথ দ্য ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম বইয়ে। তাঁর উপরে রবি শাস্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এক বছর পর ২০১৫ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল ভারত। সেই সময় বিভিন্ন ম্যাচের আগে প্রস্তুতি হিসেবে প্রাক অনুশীলনের কথা ভাবেন শাস্ত্রী। এছাড়াও ঠিক করেন একটি করে বৈঠক করা হবে যেখানে ক্রিকেটাররা ম্যাচের সম্বন্ধে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করবেন।

শ্রীধর তাঁর বইতে লিখেছেন, ‘বিশ্বকাপের আগে, রবি সিদ্ধান্ত নিয়েছল যে ক্রিকেটাররা টিম মিটিংয়ে কথা বলবে। প্রতিটি মিটিংয়ে, ব্যাটাররা তাদের খেলার পরিকল্পনার কথা জানাবে। তারা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে সামলাবে। তারপর অলরাউন্ডার অশ্বিন এবং জাদেজা বলবেন। শেষে ফাস্ট বোলাররা তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করবে।’ শ্রীধর এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তিনি মনে করেছিলেন যে প্রতিটি অনুশীলন ম্যাচের পরে এই ধরনের আলোচনা দলের বিপক্ষে যেতে পারে। শ্রীধর তাঁর বইতে লেখেন, ‘এমসিজিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামার আগের দিনও টিম মিটিং করা হয়। তবে আমি সেদিন আমার পুরনো বন্ধু নোয়েল কারের বাড়িতে ডিনারের জন্য যাই। তখন আমার কাছে অরুণের ফোন আসে। আমি অরুণের সঙ্গে নির্দ্বিধায় সবকিছু বলতে পারতাম তাই তখন বলি এটি একটি দুর্দান্ত ধারণা। কিন্তু বারবার প্রয়োগ করা হলে তা সুবিধার বদলে অসুবিধাই তৈরি করবে। এই বিষয়ে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত।’ তবে তিনি জানতেন না সেই ফোন স্পিকারে রাখা হয়েছিল। শাস্ত্রী সমস্ত কথাটাই শুনতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হন তাঁর উপর।

তিনি লেখেন, ‘আমি জানতাম না ফোন স্পিকারে রাখা ছিল এবং রবি সব কথাই শুনছে। সব কথা শুনে রেগে ভরতকে বলেন, আমি কি করতে চাইছি তা এই নতুন কোচেরা বুঝতে পারবে না। আমি শুরুতেই ওর কথা সুপারিশ করতে বারণ করেছিলাম। রবির এমন কথা শুনে আমি সারারাত ঘুমাতে পারিনি।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতে ভারত। দুর্দান্ত ফিল্ডিং করি আমরা। তখন শাস্ত্রী সব রাগ ভুলে গিয়ে শ্রীধরকে বাহবা দেন। বইতে তিনি লিখেছেন, ‘শ্রী, দারুণ কাজ করেছ। তুমি যেভাবে ফিল্ডারদের নিয়ে কাজ করছ তা অসাধারণ। আমি প্রবল স্বস্তি পেয়েছি। আগের রাতের ক্ষোভ রবি পুরোপুরি ভুলে যায়।’

বন্ধ করুন