বাংলা নিউজ > ময়দান > Ashwin lashes out at critics: অঙ্ক কষে ক্রিকেটে খেলার জন্যও বেশি ভাবুকের তকমা সাঁটানো হয়, বিরক্ত অশ্বিন

Ashwin lashes out at critics: অঙ্ক কষে ক্রিকেটে খেলার জন্যও বেশি ভাবুকের তকমা সাঁটানো হয়, বিরক্ত অশ্বিন

রবিচন্দ্রন অশ্বিন। (ছবি সৌজন্যে এপি/পিটিআই)

Ravichandran Ashwin lashes out at critics: বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বুদ্ধিমান খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত হলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। খেলাটা তাঁর কাছে অনেকটা বিজ্ঞান। তাই পুরোটাই পরিকল্পনা করেন। নীল-নকশা করে ফেলেন। তারপর মাঠে প্রয়োগ করেন।

ক্রিকেট তাঁর কাছে বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং। তাই ক্রিকেটে যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ভাবনাচিন্তা করেন বলে বরাবরই জানিয়ে এসেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তা নিয়েও কখনও কুণ্ঠাবোধ করেননি। কিন্তু অতিরিক্ত ভাবুকের তকমা লাগিয়ে দেওয়া হতে থাকায় এবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন অশ্বিন।

রবিবার মীরপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর অশ্বিন বলেন, ‘আমি বেশি ভাবি বলে একটা ধারণা আছে। আমি যেদিন থেকে গর্বের সঙ্গে ভারতীয় দলের জার্সি পরেছি, সেদিন থেকে ওই ধারণা আমার পিছু নিয়েছে। বেশ কিছুটা সময় আমি সেই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছি। আমার মনে হয়েছে যে লোকের মাথা থেকে সেই শব্দটা মুছে ফেলতে একটি জনসংযোগ কর্মসূচি চালানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখা উচিত ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকের যাত্রাপথ বিশেষ এবং অনন্য হয়। কয়েকটি যাত্রার ক্ষেত্রে বেশি ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন হয়। কয়েকটি ক্ষেত্রে আবার পুরো বিষয়টি সহজবোধ্য রাখা যায়। যে মুহূর্তে কেউ বলেন যে ভিতর থেকে আমি বেশি ভাবনাচিন্তা করি, তখন আমি ভেবেছি যে ওভাবে আমি ক্রিকেট খেলি এবং সেভাবেই খেলার জন্য আমি অন্য কাউকে পরামর্শ দেব না।’

অশ্বিন বরাবরই দাবি করে এসেছেন, তিনি মোটেও বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো জন্মগত প্রতিভা নিয়ে ক্রিকেটে আসেননি। বরং তাঁর খেলা অনেক পদ্ধতি-নির্ভর। আর সেই পদ্ধতি আরও ভালো খেলার জন্য বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়েছেন। কোনও জিনিস করলে কী হবে, তা আগে থেকে ভেবে রাখেন। তৈরি করে রাখেন নীল-নকশা। যা তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও বরাবর জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার অশ্বিন।

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: অশ্বিনের উইনিং শটের পরে কেমন ছিল টিম ইন্ডিয়ার সাজঘরের সেলিব্রেশন, দেখুন রাহুল-দ্রাবিড়দের

তারপরও বিশেষ তকমা সেঁটে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে অশ্বিন একেবারেই সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, ‘আমি খেলাটা নিয়ে গভীরভাবে ভাবনাচিন্তা করি এবং নিজের মত ভাগ করে নিই। কারণ আমার বিশ্বাস, যখন কোনও মত ভাগ করে নেওয়া হয়, তখন তার সঙ্গে আরও মত যুক্ত হয়ে অবিশ্বাস্য কিছু তৈরি করতে পারে। এটা হয়ত জনপ্রিয় তত্ত্ব নয়। কিন্তু সেটা আমায় রুখতে পারব না। কারণ কথার যুদ্ধ জেতা আমার লক্ষ্য নয়। সবকিছুর শেষে কিছু শিখতে পারার বিষয়টিই গুরুত্বপূর্ণ।’

আরও পড়ুন: BAN vs IND 2nd Test: অষ্টম উইকেটে অপরাজিত ৭১ শ্রেয়স-অশ্বিনের, জায়গা করে নিলেন ইতিহাসের পাতায়

ভারতের তারকা অফস্পিনার আরও বলেন, ‘সতর্কীকরণ: কোনও সতীর্থ বা কারও সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই। যাতায়াতের সময় কয়েকটি যে লেখা পড়েছি, তার ভিত্তিতে এই কথা বললাম। শব্দটি যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা বুঝতে আমার ১৩ বছর লেগেছিল। আশা করছি, যে তরুণরা এই বার্তাটা পড়ছে, তাঁদের কয়েক বছরের মধ্যে এই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নেবে।’

বন্ধ করুন