আইপিএলের ১৩ তম মরসুমে অনেক প্রত্যাশা জাগিয়ে শুরু করেছিল বিরাটের আরসিবি। প্রথমদিকে পরপর বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতে একটা সময় দিল্লি, মুম্বইয়ের সাথে লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থান দখলের লড়াইয়ে ছিল তারা। পরবর্তীতে একাধিক ম্যাচে হেরে তাদের প্লে অফে যাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে ১৭.৩ ওভারের মধ্যে তারা হেরে গেলেই তাদের টপকে প্লে অফে চলে যেত কেকেআর। যদিও তা বাস্তবে ঘটেনি। তাই কোনওক্রমে প্লে-অফে যায় বিরাট বাহিনী।
প্লে অফের ম্যাচে ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের বিরুদ্ধে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় তারা। খুব সহজেই ব্যাট করে এই রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নেয় হায়দরাবাদ। ফলে প্লে অফ থেকেই ছিটকে যায় বিরাটরা। ফের একটি মরসুমে অধরা থেকে যায় আরসিবির ট্রফি জয়ের স্বপ্ন।
এই ব্যর্থতার পরেই ফের গম্ভীরের সমালোচনার সম্মুখীন হয় বিরাট। ৮ বছরে আরসিবিকে কোন সাফল্য এনে দিতে না পারার দরুন তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন প্রাক্তন বা হাতি ওপেনার। এবার তিনি তার সমালোচনার ঝাঁঝ আরও বাড়ালেন । গম্ভীর বলেন ' ঠিক আছে তুমি যত খুশি চাও নিজেকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা চালাতে পার। তুমি বলতে পার যে আমরা তো প্লে অফে কোয়ালিফাই করেছি। আমরা প্লে অফে যাওয়ার যোগ্য ছিলাম। আমি মনে করি এটা একেবারেই বাস্তব নয়। আরসিবির কোন যোগ্যতাই ছিল না প্লে অফে কোয়ালিফাই করার। যদি আপনারা আরসিবির ৪-৫ টি ম্যাচ দেখেন এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের বিরুদ্ধে সুপার ওভারটা দেখেন তাহলে বুঝবেন কেন আমি এই কথা বলছি। ওরা ভাগ্যবান যে ওই সুপার ওভারটা নভদীপ সাইনি দুরন্ত বল করেছিলেন। নাহলে ব্যাটিং বা বোলিং দুই বিভাগেই তারা এই মরসুমে চরম ব্যর্থ।'
অতীতে ধোনির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন গম্ভীর। এবার নিশানা করলেন কোহলিকে। ভারতীয় ক্রিকেটের এই দুই সুপারস্টারকে একহাত নিতে চান না অধিকাংশ প্রাক্তনরা। কিন্তু সেই দিক দিয়ে দেখতে গেলে ব্যতিক্রম গম্ভীর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।