২০১৮ সালে, ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল। জোহানেসবার্গে, কিছু স্থানীয় বোলারকে টিম ইন্ডিয়াতে নেট অনুশীলনে বল করার জন্য ডাকা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন দুই যমজ ভাই ছিল। তাদের মধ্যে একজন, ১৭ বছর বয়সী, ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের অনেক কষ্ট দিয়েছিল। এখন আপনি ভাবছেন কেন আমরা এখানে ২০১৮ ট্যুর এবং নেট বোলারের কথা বলছি? তাই বলে রাখি সেই একই নেট বোলার মারকো জেনসেন সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট কোহলিকে ১৮ রানে আউট করেছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হলেন ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রথম ইনিংসে ৩৫ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮ রান করে আউট হলেন কোহলি। দুই ইনিংসেই বাইরের বলে ব্যাট ঠেকিয়ে আউট হন কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাটকে আউট করেন বাঁহাতি তরুণ পেসার মারকো জানসেন। চতুর্থ দিনে লাঞ্চের পর প্রথম বলেই কোহলির উইকেট তুলে নেন তিনি। উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি’ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ভারতকে বড় ধাক্কা দেন ২১ বছর বয়সী জানসন।
জানসন তার প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলছেন। আর অভিষেক ম্যাচেই কোহলির বিরাট উিকেট তুলে নিলেন তিনি। মারকো জানসেন আইপিএল-এ দুটি ম্যাচ খেলেছেন। তবে তিন বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসে এই জানসেনের বল খেলেছিলেন বিরাট। ৩ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে নেট বোলার হিসাবে ভারতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন মারকো জানসেন। সেই সময় বিরাট কোহলিকে নেটেতেই বেশ চাপে রেখেছিলেন জানসেন। সেই সময়েও কোহলিকে নেটে বোল্ড করেছিলেন এই তরুণ বোলার। এ বার একেবারে অভিষেক ম্যাচেই বিরাটের উইকেট তুললেন তিনি।
বিরাটের দুর্বলতার সুযোগ নেন জানসন। দুই ইনিংসেই বাইরে যাওয়া বলকে খেলতে গিয়ে আউট হন কোহলি। ২০২১ সালে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি কোহলি। এ বছর তিনি মোট ১১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন কিন্তু এই সময়ে তার ব্যাট থেকে কোনও সেঞ্চুরি আসেনি। গত দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় রয়েছেন বিরাট। শেষ ২০১৯ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ডে নাইট টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি। ২০২১ সালে কোহলি ১১ টেস্টে মাত্র ২৮.২১ গড়ে ৫৩৬ রান করেন। এই বছরে তিনি চারটি অর্ধশতরান করেন। এ বছরে বিরাটের সর্বাধিক স্কোর 72 রান। খারাপ ফর্মের কারণে, তাকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে হয়েছিল, পরে বিসিসিআই তাকে ওডিআইয়ের অধিনায়কত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।