বাংলা নিউজ > ময়দান > মাঠে নামার উপায় নেই, আপাতত প্রকৃতি উপভোগ করেই খুশি পন্ত

মাঠে নামার উপায় নেই, আপাতত প্রকৃতি উপভোগ করেই খুশি পন্ত

ঋষভ পন্ত।

পন্ত ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘কখনও জানতাম না বাইরে বসে বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে পারাটা এত বড় আশীর্বাদ হতে পারে।’ পন্তের শেয়ার করা ছবিতে মনে হচ্ছে, তারকা উইকেটকিপার হাসপাতালের বাইরে বসে আছেন। দূরে কিছু বহুতল দেখা যাচ্ছে। পন্তের এই ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দেখে খুশি তাঁর ভক্তরা।

ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আর নিজের সুস্থ হয়ে ওঠার খবর নিজেই শেয়ার করেছেন পন্ত। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে একটি স্টোরি শেয়ার করেছেন, যেখানে তাঁকে হাসপাতালের বাইরে বসে তাজা বাতাস উপভোগ করতে দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: রবিচন্দ্রনকে দেখেই প্রণাম নকল অশ্বিনের, ফাঁস করলেন স্মিথের মুখ পোড়ার কাহিনি

গত বছর ডিসেম্বরের একেবারে শেষে গাড়ির দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন পন্ত। এবং এই চোট চোটের কারণ তিনি এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য ২২ গজের বাইরে। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দুরন্ত পারফরম্যান্স করা পন্ত এ বার ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত বর্ডার-গাভাসকর সিরিজে অংশ নিতে পারবেন না। কবে মাঠে ফিরবেন, তার কোনও ইঙ্গিতও মেলেনি। তবে এরই মাঝে তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি শেয়ার করে ভক্তদের সুখবর দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: গুড লেংথে জল দিচ্ছে না কিউরেটর, নাগপুরে কি প্রথম দিন থেকেই ঘুরবে বল?

পন্ত ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘কখনও জানতাম না বাইরে বসে বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে পারাটা এত বড় আশীর্বাদ হতে পারে।’ পন্তের শেয়ার করা ছবিতে মনে হচ্ছে, তারকা উইকেটকিপার হাসপাতালের বাইরে বসে আছেন। দূরে কিছু বহুতল দেখা যাচ্ছে। পন্তের এই ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দেখে খুশি তাঁর ভক্তরা। কারণ তিনি যে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন, এটা তার ইঙ্গিত। যদিও এখনও জানা যায়নি, কবে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

<p>ইনস্টাগ্রামে এই স্টোরিটাই শেয়ার করেছেন পন্ত।</p>

ইনস্টাগ্রামে এই স্টোরিটাই শেয়ার করেছেন পন্ত।

২০২২ সালে ৩০ ডিসেম্বর পন্তের গাড়ি একটি ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। দিল্লি থেকে রুড়কিতে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে পন্তের গাড়িটি ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বেশ কয়েক বার উল্টে গিয়ে কিছু দূর ছিটকে যায়। এর পর তাঁর গাড়িতে আগুন ধরে যায়। পন্ত নিজে কোনও রকমে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে নিজের প্রাণ বাঁচান।

দুর্ঘটনার পরে, তাঁকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পন্তকে। যেখানে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে। এর পরে তাঁকে এয়ারলিফ্টের মাধ্যমে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে আনা হয়, যেখানে তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করা হয়। তাঁর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে এবং এখন তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার পথে।

বন্ধ করুন