ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফর্ম্যান্স রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএল খেলা রিয়ান পরাগের। ক্যাপ্টেনের অল-রাউন্ড পারফর্ম্যান্সে ভর করে চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বাংলাকে ১৩ রানে পরাজিত করে অসম। টুর্নামেন্টে পরপর তিন ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ার পর প্রথম হারের স্বাদ পেলেন অনুষ্টুপ মজুমদাররা।
ইডেনে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অসম। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৭ রান তোলে। রিয়ান ৫৪ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। এছাড়া দীনেশ দাস ৩৪, পল্লবকুমার দাস ২০ ও এরিক রায় অপরাজিত ১৯ রান করেন।
চলতি মুস্তাক আলিতে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন রিয়ান। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তিনি অপরাজিত ৫১ রান করার পাশাপাশি ১টি উইকেট নেন। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে করেন ২৪ রান। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ৬৭ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলেন। বাংলার বিরুদ্ধে হাফ-সেঞ্চুরি করা ছাড়াও বল হাতে ২৮ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেটও নেন তিনি।
বাংলার হয়ে ইশান পোড়েল ২টি এবং শাহবাজ আহমেদ, মুকেশ কুমার ও ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ১টি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলা একসময় জয়ের পথ চওড়া করে ফেলে। তবে শেষ তিন ওভারে ছবিটা বদলে যায়। ১৭ ওভারে বাংলার স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১২৯। সুতরাং শেষ তিন ওভারে ২৯ রান দরকার ছিল অনুষ্টুপদের। হাতে ছিল ৭ উইকেট। সেখান থেকে বাংলা তাদের ইনিংস শেষ করে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানে।
১৮তম ওভারে প্রীতম দাস ৭ রান খরচ করে আউট করেন শাহবাজ আহমেদ (১৩) ও শুভঙ্কর বলকে (৫)। ১৯তম ওভারে রজ্জকউদ্দিন আহমেদ মাত্র ২ রান খরচ করেন। তুলে নেন আকাশ দীপের (০) উইকেট। এছাড়া সেই ওভারেই রান-আউট হন ঋত্ত্বিক (০)। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। প্রীতম মাত্র ৬ রান খরচ করে ফেরত পাঠান প্রয়াস রায়বর্মণকে (২০)।
অনুষ্টুপ অপরাজিত থাকেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করে। ৪৭ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার মারেন। মনোজ তিওয়ারি করেন ২২ বলে ৩৩ রান। শ্রীবত্স ১৬ ও বিবেক সিং ২১ রান করে আউট হন। প্রীতম ৩টি উইকেট নেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।