২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর থেকে আইসিসি ইভেন্টে দীর্ঘদিন সাফল্য নেই ভারতের। খেতাবের খুব কাছে গিয়েও বারবার থেমে যেতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। ফলে প্রত্যাশার চাপ এমনিতেই বাড়ছিল ক্যাপ্টেন কোহলির উপর। তবে তাই বলে হঠাৎ করে টি-২০'র নেতৃত্ব ছাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে বিরাটের সামনে, এমনটা আন্দাজ করা সম্ভব ছিল না সমর্থকদের পক্ষে। অথচ বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্বকাপের পরে টি-২০'র নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন কোহলি।
এক্ষেত্রে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে আইপিএলের তত্ত্বই সামনে আসছে সবার আগে। কোহলি নেতৃত্ব ছাড়লে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর ডেপুটি রোহিত শর্মার হাতেই যে নতৃত্বের ব্যাটন উঠবে, এটা অনুমান করার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন হয় না। সুতরাং, আইপিএলে নেতা হিসেবে রোহিতের চোখ ধাঁধানো সাফল্য ও কোহলির আরসিবি ক্যাপ্টেন হিসেবে ব্যর্থতাই যে এই পদত্যাগের জন্য অনেকটা দায়ি, সেটাও বুঝতে অসুবিধা হয় না।
ক্যাপ্টেন হিসেবে রোহিত যেখানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৫টি আইপিএল ট্রফি এনে দিয়েছেন, কোহলি সেখানে এখনও চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেননি ব্যাঙ্গালোরকে। জাতীয় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে টি-২০ ক্রিকেটে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে আইপিএলের পারফর্ম্যান্স কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, সেটা এতদিনে সবার জানা।
আইপিএলে ভালো খেললে যদি জাতীয় দলের দরজা খুলে যেতে পারে, তবে আইপিএলে ক্যাপ্টেন হিসেবে ধারাবাহিক সাফল্য পেলে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দাবি পেশ করাই স্বাভাবিক। রোহিত এক্ষেত্রে পিছন থেকে চাপে রেখেছিলেন বিরাটকে। কোহলির পদত্যাগের কথা ঘোষণার পর, এই বিষয়টা জলের মতোই স্পষ্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।