২২ বছরের নেট বোলারের সামনে চাপে পড়লেন রোহিত-রাহুল! প্রশংসিত করলেন হিটম্যান

রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে বোলিং করেছেন লাভদীপ সিং। তিনি ছাড়াও আরও ৭ জন নেট বোলার থাকলেও সকলের নজর কেড়েছিলেন লাভদীপ। শক্তিশালী বোলিং অ্যাকশনের সঙ্গে লাভদীপের একটি ভালো সীম বোলার হিসাবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

'খুব ভালো... ইয়ে ওয়ালা অর ডাল', ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এভাবেই ২২ বছর বয়সী নেট বোলার লভদীপ সিংয়ের প্রশংসা করেছেন। লভদীপ হলেন টিম ইন্ডিয়ার নেট বোলার। ভারতীয় অধিনায়ক ছাড়াও, এই বাঁহাতি পেসার কেএল রাহুল এবং সূর্যকুমার যাদবকেও সমস্যায় ফেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের T20I সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে লভদীপ সিং মোহালিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের নেটে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে বোলিং করেছেন লাভদীপ সিং। তিনি ছাড়াও আরও ৭ জন নেট বোলার থাকলেও সকলের নজর কেড়েছিলেন লাভদীপ। শক্তিশালী বোলিং অ্যাকশনের সঙ্গে লাভদীপের একটি ভালো সীম বোলার হিসাবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত ট্রেন্ট বোল্ট বা শাহিন শাহ আফ্রিদির মতো একই মানের না হলেও যতটা বল সুইং করার দরকার তিনি সেটা করেছেন। 

তাঁর ব্যাক-অফ-দ্য-হ্যান্ড স্লোয়ার বল রোহিতকে আরও বেশি বিরক্ত করেছিল, ভারত অধিনায়কের কাছ থেকে তিনি কিছু প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। নেট সেশনের পর ব্যাক-অফ-দ্য-হ্যান্ড রিলিজ সম্পর্কে লাভদীপ বলেন, ‘সে আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছে। সে বলেছিল, 'ভালো বোলিং' যখন আমি স্লো বোলিং করার চেষ্টা করি।’ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বিশেষভাবে বাঁহাতি ফাস্ট বোলারদের অনুরোধ করেছিল এবং পঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ক্রিকেট কোচ এবং বর্তমান নেট সেশনের ইনচার্জ দীনেশ কুমার লাভদীপকে বেছে নিয়েছিলেন।

দীনেশ কুমার বলেন, ‘সে পঞ্জাব অনুর্ধ্ব-২৩-এর হয়ে খেলেছে এবং আমি জানি তাঁর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা লেগ স্পিনার এবং বাঁহাতি ফাস্ট বোলারদের জন্য (ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে) বিশেষ অনুরোধ পেয়েছি। আমরা দুটি লেগ স্পিন করেছি। বাছাই করা স্পিনার, কিন্তু লাভদীপই একমাত্র বাঁহাতি বোলার ছিলেন।’ রোহিত শর্মাও লাভদীপের কাছে প্রায় আউট হয়ে যান, কারণ রোহিত তাঁর একটি ডেলিভারি ব্যাক ফুট থেকে খেলেন এবং বলটি কভার এলাকার দিকে হাওয়ায় চলে যায়।

লাভদীপ যে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বোল্ড করেছিলেন, তাদের মধ্যে বিরাট কোহলিকে সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্য দেখাচ্ছিল। লাভদীপ বলেন, ‘সে একটি ভিন্ন স্তরে রয়েছে। আমি ভেবেছিলাম আমি কখনই তাঁর ব্যাটকে হারাতে পারব না।’ লাভদীপের তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হল পঞ্জাব দলে জায়গা করে নেওয়া এবং তিনি বলেছিলেন যে রবিবারের অভিজ্ঞতা তাঁকে ঘরোয়া মরশুমে তার সেরা পারফরম্যান্স দিতে সাহায্য করবে।