অ্যাসোসিয়েট ক্রিকেট দেশগুলির খেলোয়াড়দের নাম করলে একেবারে প্রথমের দিকে রায়ান টেন দুশখাতের নাম আসে। কলকাতা নাইট রাইডার্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন লিগে দাপটের সঙ্গে খেলে বেড়িয়েছেন এই অলরাউন্ডার। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সকলকে খানিকটা চমকে দিয়েই নেদারল্যান্ডস দলে জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তবে এ মরশুম শেষেই তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে ইতি টানতে চলেছেন দুশখাতে।
২০০৩ সাল থেকে এসেক্সের জার্সি গায়ে অভিষেক ঘটানো থেকে দীর্ঘ দুই দশক একই কাউন্টির হয়ে খেলে গিয়েছেন দুশখাতে। কাউন্টি দলের হয়ে সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে ১৭ হাজারেরও অধিক রান ও প্রায় ৩৫০টি উইকেটও রয়েছে তাঁর দখলে। এহেন কেরিয়ারের পর ৪১ বছরের দুশখাতে মরশুম শেষেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন বলে জানিয়েছে তাঁর প্রিয় এসেক্স। কিংবদন্তী অলরাউন্ডার নিজেও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে এসেক্সের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এক সরকারি বিবৃতিতে দুশখাতে জানান, ‘আমি হৃদয় থেকে আমার সময়কালে এসেক্সের সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই পরিবেশে যুক্ত থাকতে পেরে এবং দল ও ব্যক্তিগতভাবে বহু উত্থানের সাক্ষী থাকতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে আমরা যে সাপোর্ট পেয়েছি তা নিয়ে আলাদা করে কিছুই বলার প্রয়োজন হয়না। স্পনসর থেকে শুরু করে সমর্থক, সকলে মিলেই এসেক্স ক্লাবকে এত স্পেশাল বানায়। আমার কেরিয়ার কোনভাবেই আমার সতীর্থদের ছাড়া একরকম হত না, যারা আজীবনের জন্য আমার বন্ধু হয়ে গিয়েছে।’
গ্রান্ট ফ্লাওয়ার থেকে অ্যালেস্টার কুক, দুশখাতে একাধিক কিংবদন্তী ক্রিকেটারের সঙ্গে একই সাজঘরে সময় কাটিয়েছেন। ২০০৮, ২০১০ ও ২০১১, তিনবার তিনি আইসিসির তরফে সেরা অ্যাসোসিয়েট খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের হয়ে আইপিএলে অভিষেক ঘটে তাঁর। পাঁচ বছর নাইট জার্সি গায়ে খেলে ফ্রাঞ্চাইজির জোড়া ২০১২ ও ২০১৪ সালে দুইবার আইপিএলও জেতেন তিনি। ডাচ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খুব বেশি ম্যাচ না খেললেও বিশ্বকাপের মঞ্চেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান রয়েছে। নিঃসন্দেহে অ্যাসোসিয়েট ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বকালের অন্যতম সেরা হিসাবে বিবেচিত হবেন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।