জাতীয় দলের কয়েকজন মাত্র সতীর্থ যোগাযোগ রাখতেন কঠিন সময়ে। বাকিরা তাঁর থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতেন। আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে নির্বাসিত হওয়া টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার এস শ্রীসন্ত এমনটাই জানালেন।
যদিও যাঁরা এড়িয়ে যেতেন, তাঁদের পরিস্থিতি বোঝেন বলেই কারও উপর এতটুকু রাগ বা অভিমান নেই বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অনত্যম সদস্যের। বরং তিনি খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় মেনে নিয়েছেন বিষয়টা। তবে শ্রীসন্ত কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি, যাঁরা কঠিন সময়ে পাশে থেকে তাঁকে লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁদের।
তারকা পেসার এও জানান যে, যাঁরা তাঁর দিক থেকে কখনই মুখ ফিরিয়ে থাকেননি, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। শ্রীসন্ত জানান, সম্প্রতি সচিন তেন্ডুলকর, গৌতম গম্ভীর ও হরভজন সিংয়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর।
২০১৩ সালে আইপিএলের স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় বিসিসিআই আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দেয় শ্রীসন্তকে। তবে বোর্ডের ন্যায়পাল ডিকে জৈন তাঁর শাস্তি কমিয়ে ৭ বছর করেন। যার অর্থ, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন ৩৮ বছর বয়সি পেসার।
শ্রীসন্ত বলেন, ‘এখন আমি অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গেই কথা বলি। সচিন পাজির সঙ্গে টুইটারে কথা হয়েছে। বীরু পাজির সঙ্গে কথা হয়। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে দেখা করেছি কিছুদিন আগে। জনসমক্ষে বেশিরভাগ সতীর্থই আমাকে এড়িয়ে যেত। বীরু ভাই, লক্ষ্মণ ভাইয়ের মতো তিন-চার জন আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। আমি বুঝি বাকিদের অসুবিধাটা। যেহেতু আদালতের বিচারাধীন ছিল আমার নির্বাসনের বিষয়টি, তাই আমিও সচরাচর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতাম না। গত দু-এক বছরে ছবিটা বদলেছে। এয়ারপোর্টে ভাজ্জির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমি ওকে জানিয়েছি যে, ক্রিকেটে ফেরার পর ভাজ্জি স্পোর্টসের ব্যাট নিয়েই মাঠে নামব।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।