তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়লেন তামিম ইকবালরা। সৌজন্যে কাগিসো রাবাদার আগুনে বোলিং।
দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম, শাকিব কেউই চলেননি। অধিনায়ক তামিম করেন ১ রান, শাকিব আউট হন শূন্য রানে। ব্যর্থ লিটন দাস (১৫ রান) ও মুশফিকুর রহিমও (১১ রান)। দলের তারকাখচিত টপ অর্ডারকে হারিয়ে শুরু থেকেই চাপে ছিল বাংলাদেশ। মাত্র ৩৪ রানেই আধা দল সাজঘরে ফিরে যায়। মহম্মদুল্লাহ একটু লড়াই করার চেষ্টা চালালেও তিনি ২৫ রানে আউট হলে বাংলাদেশ ৯৪ রানে ছয় উইকেট হারায়। শেষমেশ আফিফ হোসেনের তুখর ৭২ ও মেহেদি হাসানের ৩৮ রানের ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেটের বিনিময়ে ১৯৪ রান তোলে বাংলাদেশ। রাবাদা ৩৯ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা বোলার হন।
৫০ ওভারে ১৯৫ রানের লক্ষ্য, প্রোটিয়াদের জন্য একেবারেই মুশকিল ছিল না। ওপেনিংয়ে কুইন্টন ডি'কক এবং জানেমন মালানের ৮৬ রানের পার্টনারশিপ কাজটা আরও সহজ করে দেয়। মালান ২৬ রানে আউট হলেও, ডি'ককের আগ্রাসী ৪১ বলে ৬২ রানের ইনিংসের ফলে ম্যাচে আর কিছু বাকি ছিল না। তিনি আউট হলে, বাকি কাজটা কাইল ভিরেইনা ও অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা মিলে করে দেন। ভিরেইনা ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন, বাভুমা করেন ৩৭ রান। ৭৬ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেট হাতে রেখে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় প্রোটিয়ারা। এই জয়ের ফলে সিরিজে সমতায় ফিরল বাভুমার দল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।