৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১৩.৪০ গড়ে সাকুল্যে ১৩৪ রান। সিরিজের দশটি ইনিংসে ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ১, ৮, ২৫, ০, ৩৮, ২৮, ০, ৭, ৬ ও ২০। বিশ্বাস করা মুশকিল যে, ২০১৪-র ইংল্যান্ড সফরে ঠিক এরকমই ছিল বিরাট কোহলির পারফর্ম্যান্স।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালের ইংল্যান্ড সফরে কোহলি ৫ ম্যাচে ৫৯.৩০ গড়ে সংগ্রহ করেন সিরিজের সর্বোচ্চ ৫৯৩ রান। দশটি ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল যথাক্রমে ১৪৯, ৫১, ২৩, ১৭, ৯৭, ১০৩, ৪৬, ৫৮, ৪৯ ও ০ রানের।
মাঝে ৪ বছরের ব্যবধানে কোহলি পরিণত হয়ে উঠেছেন সন্দেহ নেই। আগের সিরিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন এবং ইংল্যান্ডের পরিবেশে খেলার অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেছেন পর্যাপ্ত। তবে এই ভুল শুধরে দেওয়ার কাজটা করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, যার প্রভাব স্পষ্ট বোঝা যায় ২০১৮-র সফরে।
মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে আলোচনায় কোহলি নিজেই কৃতিত্ব দিলেন সচিনকে। ভারত অধিনায়ক স্পষ্ট জানালেন, সফর থেকে ফিরে এসে তিনি তেন্ডুলকরের শরণাপন্ন হন। সচিনের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনার পরেই বুঝতে পারেন ভুল ছিল কোথায়।
কোহলি বলেন, ‘ফিরে এসে আমি মুম্বইয়ে সচিন পাজির সঙ্গে কথা বলি। সচিন পাজির সঙ্গে কয়েকটা সেশন কাটাই। আমি বলি যে, আমার হিপ পজিশন ঠিক করার চেষ্টায় রয়েছি। সচিন পাজি আমাকে লম্বা পা বাড়ানোর প্রভাব বোঝায়। সেই সঙ্গে পেসারদের বিরুদ্ধে ফরোয়ার্ড প্রেসের বিষয়টাও। যখন সেটা শুরু করি, সবকিছু অনেক সহজ মনে হয়।'
বিরাট জানান, সবাই নিজের ভালো সিরিজকে মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচনা করেন। তবে তিনি ২০১৪-র খারাপ ইংল্যান্ড সফরটাকেই মাইলস্টোন করেছিলেন। সেই ব্যর্থতা থেকেই উপলব্ধি করেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল হতে গেলে কী করতে হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।