প্রায় আড়াই দশকের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ক্রিকেট খেলে যত টাকা উপার্জন করেছেন সচিন তেন্ডুলকর, তার থেকে অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারতেন অ্যালকোহল ও তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনী প্রচারে অংশ নিয়ে। সারা বিশ্বে সচিনের বিপুল জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে মরিয়া ছিল অ্যালকোহল ও তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারী বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। তবে তাদের পণ্যের প্রচার চালানোর কাজে সচিনকে মাঠে নামাতে কোনওভাবেই সক্ষম হয়নি এমন কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাই।
সারা জীবনে সচিন ব্যক্তিগত আদর্শকে আঁকড়ে থেকেছেন যে, কখনও যুব সমাজকে মদ ও তামাকজাত দ্রব্য সেবনে উৎসাহিত করবেন না। মাস্টার ব্লাস্টারের মধ্যে এই নৈতিকতার বীজ পুঁতে দিয়েছিলেন তাঁর পিতা রমেশ তেন্ডুলকর। তিনি ছেলেকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, মানব সমাজকে অবক্ষয়ের পথে ঠেলে দেয় এমন কোনও পণ্যের বিজ্ঞাপন কখনও না করতে।
সচিন জানতেন যুব সমাজে তাঁর প্রভূত প্রভাব রয়েছে। যে বিষয়টাকেই কাজে লাগাতে তৎপর ছিল বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। কিন্তু ব্যক্তিগত আদর্শ ও বাবার আদেশ, দু'টিকে সম্বল করে তিনি নিজের জায়গা থেকে এক পাও নড়েননি।
খেলোয়াড় জীবনে সচিনের ব্যাটে নিজেদের বিজ্ঞাপনী লোগো ব্যবহারের জন্য বিপুল অর্থের প্রলোভন দেখিয়েছিল একটি তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারী সংস্থা। তবে প্রলোভনের কাছে মাথা নত করেননি তেন্ডুলকর।
বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবসে যুব সমাজের কাছে একটা ইতিবাচক বার্তা পৌঁছতে পারে এটা জানলে যে, খেলা ছাড়ার পরেও সচিনকে বার্ষিক ২০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপনী চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল অ্যালকোহল ও তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারী সংস্থা। তবে এমন বিপুল অর্থের লোভনীয় প্রস্তাবেও তেন্ডুলকরকে টলানো যায়নি কোনও ভাবেই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।