শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর অধিনায়কত্বে হেন কোন আইসিসি ট্রফি নেই যা ভারত জেতেনি। ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-২০ বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। প্রসঙ্গত ২০১৩ সালে ভারত ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। এখন পর্যন্ত সেটাই ভারতের শেষ বার আইসিসি ট্রফি জয়। সেই ধোনিকেই ভারত অধিনায়ক করার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল আর এক কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের! সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সেই অজানা কাহিনী শোনালেন সচিন।
আরও পড়ুন: আমার সঙ্গেও এমনটা হয়েছে, দলের প্রয়োজন মেনে নিতেই হয়- কুলদীপের বাদ প্রসঙ্গে উমেশ
২০০৭ সালে সচিনকে বিসিসিআইয়ের তরফে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব অফার করা হয়েছিল। সেই সময় ভারতের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলার কথা ছিল। সেই সময়েই ধোনির নাম প্রস্তাব করেছিলেন সচিন। যদিও এর আগে ধোনির অধিনায়কত্ব করার কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না।
আরও পড়ুন: ১২ বছরের তপস্যার শেষে প্রথম টেস্ট উইকেট উনাদকাটের,দেখুন সেই আবেগঘন মুহূর্ত
ইনফোসিস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসে সচিন তেন্ডুলকর জানিয়েছেন, ‘ইংল্যান্ড সিরিজের সময়ে আমাকে অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমি বলেছিলাম আমাদের দলে একজন খুব ভালো নেতা রয়েছেন। যদিও সেই মুহূর্তে ও বেশ তরুণ। আমার মনে হয়, ওকে পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত। মাঠে ওর সঙ্গে আমার দীর্ঘ কথোপথন হত। আমি যখন প্রথম স্লিপে ফিল্ডিং করতাম, সেই সময়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হত বিভিন্ন বিষয়ে। আমি কোন এক ম্যাচ পরিস্থিতিতে ওর মতামত জানতে চাইতাম। যদিও সেই সময়ে রাহুল (দ্রাবিড়) আমাদের অধিনায়ক ছিল। আমি ধোনির থেকে যে মতামত পেতাম, তা ছিল একজন অভিজ্ঞ মস্তিষ্কের ভারসাম্যযুক্ত ধীর, স্থির, ভাবনা। ভালো অধিনায়কত্ব করা মানে বিপক্ষের থেকে এক ধাপ এগিয়ে থাকা। আপনাকে এটা করতে গেলে স্মার্ট হতে হবে। আমরা তাই বলতাম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খেলতে হবে। আমরা কখনও ১০ বলে ১০ উইকেট পাব না। এর জন্য পরিকল্পনা করার দরকার। দিনের শেষে স্কোরবোর্ডটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি ওর (ধোনির) মধ্যে এই গুণগুলো দেখেছিলাম। সেই কারণেই অধিনায়ক হিসেবে ওর নাম প্রস্তাব করি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।