মোহালিতে নেট বোলার হিসেবে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। প্রথম দর্শনেই জহুরিদের চোখ চিনে নিয়েছিল খাঁটি সোনা। নেটে দেবাশিস মোহান্তির মতো টেল এন্ডারকে মাত্র ৭-৮টি বল করার পরেই সচিন তেন্ডুলকরের প্রশংসা জুটেছিল হরভজন সিংয়ের কপালে। সচিনের ছোট্ট একটা পরামর্শ ভাজ্জিকে এতটাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলেছিল যে, এক বছর পরেই জাতীয় দলের অন্দরমহলে ঢুকে পড়তে অসুবিধা হয়নি সর্দারের।
আকাশ চোপড়ার সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে হরভজন জানালেন তাঁর জাতীয় দলে ঢুকে পড়ার কারণ। ভাজ্জি বলেন, ‘দুসরার সৌজন্যেই আমি তাড়াতাড়ি জাতীয় দলে নির্বাচিত হই। সেই সময় খুব কম বোলার দুসরা করতে পারত। আমি সেটা বাকিদের থেকে ভালো পারতাম। যদিও আমি বলতাম লেগ কাটার। দুসরা নাম হয় মঈন খানের জন্য। উইকেটের পিছন থেকে সাকলাইনকে বলত ‘দুসরা ডাল দে’। সেই থেকেই ওই ডেলিভারি দুসরা নামে পরিচিত হয়ে যায়।’
সর্দার জানান তাঁর প্রথমবার ভারতীয় ক্রিকেটারদের নজরে পড়ার গল্প। তাঁর কথায়, ‘আমাকে মোহালির নেটে ডাকা হয়েছিল। যখন পৌঁছই, তখন প্রায় সবার ব্যাটিং প্র্যাকটিস সারা। দেবাশিস মোহান্তি নেটে ব্যাট করছিল। সচিন বল করছিল। আজহার লাঞ্চ করছিল। আমি যখন বল করি, সচিন পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ৭-৮টা বল করি, মোহান্তি ৪-৫ বার আউট হয়। যদিও ওটা মোহান্তি ব্যাট করছিল, সচিন নয়। অজয় জাদেজা আজহারকে ডেকে বলে, আজ্জু ভাই, ছেলেটাকে দেখো। আজহারও দেখছিল আমাকে।’
শেষে ভাজ্জি বলেন, ‘সচিন আমাকে বলে নিজের খেলার দিকে লক্ষ্য স্থির রাখো। তোমার জন্য শুভকামনা রইল। আশা করি তুমি ভারতের হয়ে খেলবে। সচিনের এই কথাগুলোই আমাকে আরও মনোসংযোগী করে তোলে। আমি বুঝতে পারি, ১০০ শতাংশ নয়, জাতীয় দলে খেলতে হলে আমাকে ১২০ শতাংশ মেলে ধরতে হবে। একবছর পরেই আমি টেস্ট দলে ঢুকে পড়ি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।