করোনার কবলে জর্জরিত দেশের জনগণ। লকডাউনে দু'বেলা পেট চালানো দায় বহু গরিব মানুষের পক্ষেই। সেই তালিকায় সামিল আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা মহিলা ফুটবলার সঙ্গীতা কুমারিও। বিশ বছরের মহিলা ফুটবলারের ঝাড়খন্ডের ইটভাটায় কাজ করার দৃশ্য হতবাক করে দিয়েছে ভারতীয় ক্রীড়ামহলকে।
ঝাড়খন্ড সরকারের কাছে চেয়েও মেলেনি স্কলারশিপ। অগত্যা পরিবারের পেট চালাতে মাত্র ১৫০-২০০ টাকা রোজের ইটাভাটারই কাজ করতে বাধ্য হন সঙ্গীতা। জাতীয় স্তরের খ্যাতিসম্পন্ন ফুটবলারের এমন দশায় লজ্জা ও সমালোচনা ভেসে এসছে দেশের একাধিক প্রান্ত থেকে। সমালোচনার মুখে অবশেষে টনক নড়ল। সঙ্গীতার সাহায্যে এগিয়ে এলেন দেশের কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রিজিজু জানান, ‘আমায় ফুটবলার সঙ্গীতা সোরেনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। তিনি ভারতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং বর্তমানে মহামারি পরিস্থিতিতে দারুণ আর্থিক অভাবের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। আমার অফিসের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং শীঘ্রই তাঁর কাছে আর্থিক অনুদান পৌঁছে যাবে। অ্যাথলিটদের জন্য এক সম্মানজনক জীবন সুনিশ্চিত করাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য।’
দেশে বিভিন্ন খেলায় অসম আর্থিক বন্টন ও একাধিক অ্যাথলিটদের খেলা ছাড়ার ঘটনা প্রায়শই চর্চায় ওঠে আসে। এই ছবি আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে পরিস্কার করে দেখিয়ে দিল কেন আমাদের দেশ ক্রীড়ার জগতে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে।