উইম্বলডনে ইন্দ্রপতন, ১ বছর পর ফিরেও প্রথম রাউন্ডেই হার, তবে কি যুগ শেষ সেরেনার?

হারমোনি যে সহজে জয় পেয়েছেন, তা নয়। সেরেনা মারাত্মক লড়াই করেছিলেন। তা খেলার ফলেই প্রমাণিত। হারমোনির পক্ষে খেলার ফল ৭-৫, ১-৬, ৭-৬ (১০-৭)। তবে লড়াই করেও প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাওয়ার গ্লানি নিয়েই কোর্ট ছাড়তে হল সেরেনাকে।

বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গিয়েছে সেরেনা উইলিয়ামসের। এক সময়ের অবিসংবাদী বিশ্বসেরার র‌্যাঙ্কিংও নেমে গিয়েছে অনেকটা নীচে। প্রতিযোগিতামূলক টেনিস থেকে দূরে রয়েছেন প্রায় এক বছর। তবুও তিনি এক বছর পর প্রতিযোগিতামূলক টেনিসে ফিরে লড়াই চালালেন প্রাণপন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হল সেরেনাকে।

গত বছর চোটের কারণে এই উইম্বলডন থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। চোট পেয়ে কেঁদে ভাসিয়ে ছিলেন তারকা টেনিস প্লেয়ার। তার পর অবশ্য চোট সারিয়ে ফের কোর্টে ফিরে দীর্ঘ পরিশ্রম করেছেন। অনুশীলনে খামতি রাখেননি। এক বছর প্রতিযোগিতামূলক টেনিস থেকে বাইরে থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেছিলেন। লক্ষ্য ছিল, ২৪তম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের নজির গড়া। কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই হারমোনি টানের কাছে হেরে ছিটকে যেতে হল সেরেনাকে।

তবে হারমোনি যে সহজে জয় পেয়েছেন, তা নয়। সেরেনা মারাত্মক লড়াই করেছিলেন। তা খেলার ফলেই প্রমাণিত। হারমোনির পক্ষে খেলার ফল ৭-৫, ১-৬, ৭-৬ (১০-৭)। তবে লড়াই করেও প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাওয়ার গ্লানি নিয়েই কোর্ট ছাড়তে হল সেরেনাকে।

সেরেনার লড়াইয়ের পরেও প্রথম রাউন্ডে হার! প্রশ্ন উঠেছে, সেরেনা যুগের এবার অবসান হতে চলেছে? তবে ৪০-এ দাঁড়িয়েও তাঁর পাওয়ার টেনিসের যে ঝলক দেখা গিয়েছে, তাতেও মন ভরে গিয়েছে দর্শকদের। সেরেনা-হারমোনির লড়াই এতটাই উত্তেজনায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, উইম্বলডনের মঞ্চেও সব সৌজন্য ভুলে, দর্শকরা চিৎকার করতে থাকেন। যা কল্পনা করা যায় না। দর্শকদের শান্ত করতে চেয়ার আম্পায়র বাধ্য হয়ে ঘোষণাও করে ফেলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, এটা খুবই উত্তেজনার ম্যাচ। কিন্তু সৌজন্যের খাতিরে দয়া করে শান্তি বজায় রাখুন। খেলোয়াড়দের মনসংযোগ করতে দিন।’

সেরেনা প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাওয়ায় অনেকটাই জৌলুস হারাল উইম্বলডন। তবে নতুন করে প্রতিযোগিতামূলক টেনিসে ফিরে ৪০ বছরেও তিনি যে লড়াই করলেন, তাঁর এই হার না মানা মনোভাবকে নিঃসন্দেহে কুর্নিশ জানাতেই হয়।