নন-স্ট্রাইকার এন্ডে রান-আউট নিয়ে হরমনপ্রীত কৌরের উলটো পথে হাঁটলেন শেফালি বর্মা। মাসকয়েক আগে দীপ্তি শর্মা নন-স্ট্রাইকার এন্ডে রান-আউট করার পর ইংল্যান্ডের ব্যাটারকে ফেরাননি হরমন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারকে ফিরিয়ে আনলেন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক শেফালি।
গত মঙ্গলবার প্রিটোরিয়া দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ ব্রিগেড। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের সময় নন-স্ট্রাইকার এন্ডে জেন্না ইভান্সকে কে রান-আউট করেন ভারতের বোলার মন্নত কাশ্যপ। যদিও ইভান্সকে ফিরিয়ে আনেন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক শেফালি।
সেই ম্যাচে জয়ের জন্য ১৩৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৬.৩ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল সাত উইকেটে ৬৫ রান। ১৭ তম ওভারের চতুর্থ বল করতে আসার সময় ইভান্সকে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে রান-আউট করেন মন্নত। আইসিসির নয়া নিয়ম মেনে আউট দেন আম্পায়ার। তারপর সোজা ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা দেন ইভান্স। যদিও শেফালি তাঁকে ফিরিয়ে আনেন।
ভারতের সিনিয়র দলে শেফালির অধিনায়ক হরমন অবশ্য সেই পথে হাঁটেননি। গত সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড-ভারতের একদিনের সিরিজের শেষ ম্যাচে যখন ইংল্যান্ডের ব্যাটার চার্লি ডিনকে যখন নন-স্ট্রাইকার এন্ডে আউট করেছিলেন দীপ্তি, তখন সেই পথে হাঁটেনি হরমনের ভারত। লর্ডসে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় ৪৪ তম ওভারে তৃতীয় বলে সেই ঘটনা ঘটেছিল। দীপ্তি বল করতে আসার সময় চার্লি ক্রিজের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে রান-আউট করে দিয়েছিলেন দীপ্তি। আইনসিদ্ধ হওয়ায় আউটও দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তার ফলে ১৬ রানে জিতে ঝুলন গোস্বামীকে ফেয়ারওয়েল দিয়েছিলেন হরমনরা। তবে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছিল। স্পিরিটের ধুয়ো তুলে ভারতের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন ইংল্যান্ডের অনেক ক্রিকেটার।
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ ম্যাচের ফলাফল
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৩৭ রান তুলেছিল ভারত। ৩৯ বলে ৪০ রান করেছিলেন শ্বেতা শেহরাওয়াত। ৪৬ বলে সমসংখ্যক রান করেছিলেন সৌম্য তিওয়ারি। তবে অধিনায়ক শেফালি প্রথম বলেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। সেই রান রক্ষা করতে নেমে প্রোটিয়াদের কোনও সুযোগ দেননি শেফালিরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ৮৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৪ রানে জিতে যায় ভারত।