শুভব্রত মুখার্জি: প্রথম ম্যাচে টানটান লড়াই হয়েছিল একেবারে শেষ ওভার পর্যন্ত। সেই ম্যাচে মাত্র ১১ রানে বাংলাদেশ একাদশকে হারানোর, পরবর্তীতে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় ব্যবধানে জয় পেল তামিলনাড়ু দল। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৪৭ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করেছিল তামিলনাড়ু দল। জবাবে ৪০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ একাদশ। বৃষ্টির কারণে পুরো ওভার খেলা সম্ভব হয়নি। ডাক ওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে তামিলনাড়ু জিতল ৫৮ রানে। শাহরুখ খান এদিন দুর্দান্ত একটি অপরাজিত শতরানের ইনিংস উপহার দেন।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তামিলনাড়ুর ওপেনার এল সূর্যপ্রকাশ ৪৪ বলে ৪২ রান করেন। অপর ওপেনার এন জগদিশান ২০ বলে করেন ১৮ রান। প্রথম উইকেটে ২৮ রান ওঠার পরে আউট হন জগদিশান। তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান রেজাউর রহমান রাজা। বি সাই সুদর্শন ৪০, অধিনায়ক বাবা ইন্দ্রজিত ২০ এবং এন এস চতুর্বেদি ২৬ রান করেন। প্রত্যেকেই ভালো শুরু করলেও বেশিক্ষণ ব্যাট করতে পারেননি। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শাহরুখ খান ম্যাচের রং পাল্টে দেন। প্রথমে চতুর্বেদির সঙ্গে জুটি বেঁধে করেন ৫৩ রান। এরপর আর সঞ্জয় যাদবের সঙ্গেও জুটিতে অর্ধশতরান করেন। সঞ্জয় যাদব ৩৯ রান করে আউট হন।
শাহরুখ খান তাঁর শতরান সম্পন্ন করেন। দুর্দান্ত অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ৩০৬ রানে পৌঁছে দেন। পরবর্তীতে ডাক ওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জেতার জন্য বাংলাদেশ একাদশের প্রয়োজন ছিল ৩১০ রান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই তাঁরা হারায় মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট। এনামুল হক বিজয় ২৪ রান এবং মহম্মদ সইফ হাসান ৩০ রান করেন। জুটিতে তাঁরা ৫৬ রান তোলেন। ভারতের হয়ে আর সিলামবারাসন ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। তৌহিদ হৃদয় ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন। জাকের আলি অনিক ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। এই সময়তেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ডাক ওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৫৮ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় তামিলনাড়ু।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।