হেটমায়ারের আগ্রাসনে এবং শাই হোপের সাবধানী ব্যাটিং রবিবাসরীয় চিপকে কোহলির ভারতকে রীতিমতো তছনছ করে দিল। তাদের জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ভারতকে প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টস জেতার পরও ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড কেন আগে ব্যাট নিলেন, সেটা ম্যাচ শুরুর পরেই পরিস্কার হয়ে গেল। আসলে চেন্নাইয়ের উইকেটে বল পড়ে মন্থর গতিতে আসছিল ব্যাটে। যার টাইমিং ঠিক করতে সমস্যা হচ্ছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। যার ফলে ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুলকে ৬ রানে, ও বিরাট কোহালিকে মাত্র ৪ রানে আউট করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার কটরেল।
অনেকেই ভেবেছিলেন, কোহলি ও রাহুল ব্যাটিংয়ে চিপক থেকে বাড়তি ফায়দা তুলতে না পারলেও সুদে আসলে পুষিয়ে নেবেন হিটম্যান। কিল্তু এদিন নিজেকে কেমন যেন গুটিয়ে রাখলেন রোহিত। চেনা মেজাজে দেখা গেল না তাঁকে। সাবধানী ইনিংস খেলতে গিয়ে তিনি জোসেপের ফাঁদে আটকে গেলেন। পোলার্ডের হাতে ক্যাচ ফিরলেন ৫৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে।
এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরলেন শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পন্থ জুটি। দলের এই কঠিনতম সময়ে দুই তরুণ ক্রিকেটার মাথা ঠাণ্ডা রেখে ভারতের স্কোরবোর্ড সচল রাখলেন। শ্রেয়াশ আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন অফ ফর্মে থাকা পন্থ চতুর্থ উইকেটে গড়লেন ১১৪ রানের পার্টনারশিপ। ৫৬ রানের মাথায় কটরেল পন্থের ক্যাচ ফেলে দিলেও ভারতীয় দলের এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানটি বেশি দুর এগোতে পারেননি। ৭১ রানে পোলার্ডের শিকার হন পন্থ। বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগে শ্রেয়াশ আইয়ারও ৭০ রান করে আউট হন।
এই দুজন আউট হওয়ায় ভারতের তিনশো টপকে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। মাঝে অবশ্য কেদার যাদব ৩৫ বলে ৪০ রানের একটা মারকাটারি ইনিংস খেলে দেন। কেদার একা চেষ্টা করলেও, বাকিরা রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হন। যার ফলে ভারতকে ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানে থেমে যায়। ২৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমে ক্রিজে ঝড় তোলা শুরু করেন হেটমায়ার, শাই হোপ।
দীপক চাহারের বলে সুনীল অ্যামব্রিস (৯) এলবিডব্লিউ হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে শাই হোপের সঙ্গে হেটমায়ার ২১১ রানের লম্বা পার্টনারশিপ গড়েন। ৮৫ বলে হেটমায়ারের দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেন। এটা ছিল তাঁর কেরিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সহজে জয়ের পথে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত শামির বলে আইয়ারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ১০৬ বলে ১৩৯ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভীত গড়ে যান হেটমায়ার। তুলনায় মন্থর গতিতে ব্যাট করে সেঞ্চুরি করলেন শাই হোপ। ১৫১ বলে ১০২ রোন করেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দিয়ে দলকে জয়ের সীমানায় পৌঁছে দেন নিকোলস পুরান (২৯)।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।