স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন শামস মুলানি। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বল হাতে শামস মুলানির ‘মিডাস টাচ’ই কর্নেল সিকে নাইডু ট্রফির (অনূর্ধ্ব-২৫) ফাইনালে তুলে দিল মুম্বইকে। মুলানি ধারাবিক ভাবে আগুনে পারফরম্যান্স করে চলেছে। এবং সকলকে চমকে দিচ্ছেন তিনি।
বুধবার সিকে নাইডুর সেমিফাইনালে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ৫ উইকেট নেন শামস মুলানি। বাঁ-হাতি স্পিনার ২৩ ওভার বল করে ৭১ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। যার জেরে দ্বিতীয় ইনিংসে রাজস্থান ৬১ ওভারে ২২৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। আর মুম্বই পৌঁছে যায় ফাইনালে।
৫ ম্যাচ খেলে এটা শামস মুলানির আট নম্বর ৫ উইকেট ছিল। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও ২৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯৮ রান দিয়ে ১১ উইকেট তুলে নেন মুলানি। নিঃসন্দেহে এটি দুরন্ত পরিসংখ্যান।
ম্যাচের পর মুুলানি বলেওছেন, ‘আজকে (বুধবার) আমাদের জন্য কঠিন কাজ ছিল। কারণ উইকেট ধীরগতির ছিল। আমাদের পেসাররা ভালো কাজ করেছে। আমি শুধু আমার কাজ করার চেষ্টা করছি। আমি যে উইকেটগুলো পাচ্ছি, তার জন্য আমি খুব খুশি।’
তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনূর্ধ্ব-২৫ মুম্বই দলের কোচ রাজেশ পাওয়ার। তিনি বলেছেন, ‘ও অসাধারণ ফর্মে রয়েছে। ওর মধ্যে পারফর্ম করার যে খিদেটা রয়েছে, সেটা স্পষ্ট। এই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নেওয়ার পরেও, ও আরও উইকেট নেওয়ার জন্য ক্ষুধার্ত ছিল। ওর খেলার প্রতি মনোভাব এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসনীয়। দলের তরুণ খেলোয়াড়রা ওকে দেখে অনেক কিছু শিখবে। অনেক দিন পর এমন একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ক্রিকেটারকে দেখলাম।’
মুম্বই প্রথমে ব্যাট করে ২৮৮ রান করেছিল। তবে জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুলানি ঝড়ে মাত্র ১০৩ রানে গুড়িয়ে যায় রাজস্থান। এর পর মুম্বই ২৫১ রান করলে, ২২৮ রানে অল আউট হয় রাজস্থান। ২০৮ রানে বড় জয় পায় মুম্বই। ২৪ এপ্রিল ফাইনাল রয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।