স্পিন জাদুকর শেন ওয়ার্নের অকাল প্রয়াণে স্তম্ভিত গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। মাত্র ৫২ বছর বয়সে এই কিংবদন্তির মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। সবার মতোই ওয়ার্নের মৃত্যুতে স্তম্ভিত ক্রিকেট কিংবদন্তি সুনীল গাভসকরও। ওয়ার্নের বিরুদ্ধে না খেললেও ধারাভাষ্যকার হিসেবে তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল গাভসকরের। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই ওয়ার্নের মৃত্যুর কারণ খুঁজলেন লিটল মাস্টার।
এদিন এক সংবাদ চ্যানেলে ওয়ার্নকে নিয়ে আলোচনার সময় সুনীল গাভসকর বলেন, ‘এটা একটা বড় ধাক্কা। কে ভেবেছিল যে মাত্র ৫২ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হতে পারে। রোহন আমাকে মেসেজ করে জিজ্ঞাসা করেছিল যে এই খবরটা (শেন ওয়ার্নের মৃত্যু) সত্যি কি না। তখন আমি বুঝতে পারছিলাম না যে আমি কীভাবে তাঁকে কী বলব। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিকেট বিশ্ব দুই মহারথীকে হারাল। প্রথমে রডনি মার্শ, আর তারপর এখন শেন ওয়ার্ন। এটা অবিশ্বাস্য। এটা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন।’
জাদুকর ওয়ার্নের বিষয়ে গাভসকর আরও বলেন, ‘শেন ওয়ার্ন এমন এক কাজকে (লেগ স্পিন) শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যা খুব কঠিন। আর এই বোলিংয়ের মাধ্যমে টেস্টে ৭০০ এবং ওডাইতে আরও শতাধিক উইকেট শিকার করেছেন ওয়ার্ন। এটাই প্রমাণ করে যে তিনি কত বড় বোলার। ফিঙ্গার স্পিন (অফ স্পিন) অনেক বেশি সহজ। এতে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে। তবে লেগ স্পিন খুবই কঠিন কাজ। আর যেভাবে শেন ওয়ার্ন জাদু দেখাতেন, জাদু ডেলিভার করতেন... এই কারণেই গোটা বিশ্বে তাঁকে অন্যতম সেরা বোলার হহিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়।’
ওয়ার্নের অকাল প্রয়াণ প্রসঙ্গে গাভসকর বলেন, ‘শেন ওয়ার্ন জীবনকে উপভোগ করতেন সব সময়। সবসময় জিজ্ঞেস করতেন, ‘বিকেলে কী করছ, চলো একসঙ্গে বসা যাক, কিছু খাওয়া যাক...’ তিনি সব সময় কিং সাইজে নিজের জীবন যাপন করতে ভালোবাসতেন। এবং হয়ত, এই ভাবে তিনি জীবন যাপন করতেন, আর এই কারণেই হয়ত তাঁর হার্ট আর চাপ সহ্য করতে পারেনি, আর তাই এত তাড়াতাড়ি তিনি মারা গেলেন।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।