তারা এক সময় একই দলের হয়ে খেলতেন। তাদের সেই জুটি অনেক ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে। বিশ্ব ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তারা। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের দুই কিংবদন্তি শোয়েব আখতার এবং শাহিদ আফ্রিদি। এই দুই ক্রিকেটারকে কেউ চেনেনা এমনটা হতে পারে না। এবার এই দুই ক্রিকেটার বাকযুদ্ধে জড়ালেন। তবে নিজেদের মধ্যে নয়। একটি সাক্ষাৎকারে একে অপরের প্রশ্নের উত্তর দিলেন তারা। তবে এই দুই ক্রিকেটারের বাকযুদ্ধের কেন্দ্র বিন্দু শাহিন শাহ আফ্রিদি।
প্রসঙ্গত গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। সেই ম্যাচ বল করার সময় হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট লাগে শাহিন আফ্রিদির। এরপর আর তিনি বল করতে পারেননি। মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে। সেই ম্যাচে মাত্র ১৩টি বল করেন পাকিস্তানের এই পেসার। অবশ্য সেই ম্য়াচ জিততে পারেনি পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেই বিশ্বকাপ হারের প্রসঙ্গ তুলে এনে শোয়েব বলেন, 'আমি হলে ব্যথা কমানোর ইনজেকশন নিয়ে মাঠে নামতাম। আমি যখন খেলতাম তখন এমন পরিস্থিতির মধ্যে অনেকবার পড়তে হয়েছে। মাঠে নেমেছি, খেলেছি এবং উইকেটও নিয়েছি। কিন্তু শাহিন সেটা করেনি। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচে এই ভাবে চলে আসা উচিত হয়নি। আমি যদি সেখানে থাকতাম তাহলে, পা ভেঙে যাক, রক্ত পড়ুক যাই হোক না কেন ইনজেকশন নিয়ে মাঠে নেমে খেলতাম। কারণ তখন আমার কাছে প্রাধান টার্গেট থাকত দেশ।'
শোয়েবের এমন মন্তব্যের পাল্টা দিতে ভোলেননি শাহিন আফ্রিদির শ্বশুর তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের একটি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বিদ্রুপের ছন্দেই পাল্টা দেন পাক অলরাউন্ডার। আফ্রিদি বলেন, 'শোয়েব আমার খুব ভালো বন্ধু। খেলার সময় শোয়েব অনেক ব্যথা কমানোর ইনজেকশন নিয়েছে। নইলে ও এখন হাঁটতেই পারত না।'
এখানেই থেমে থাকেননি আফ্রিদি তিনি আরও বলেন, 'শোয়েব আখতার একজনই হয়। একমাত্র ওই পারত এই সব করতে। কিন্তু সেটা খুবই কঠিন ছিল। এত ইনজেকশন সাময়িক আরাম দিলেও তা বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে সে যাই হোক না কেন, সবাই শোয়েব আখতার হতে পারে না। চোট নিয়ে খেলা কখনই উচিত নয়। তাতে কেরিয়ার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যেতে পারে। তবে সে যাই হোক না কেন, শোয়েবকে একা ছেড়ে দেওয়া হোক।'