কথায় আছে ‘যাঁর শেষ ভলো, তাঁর সব ভালো’। বছরের শুরুটাই যেমন খুব একটা ভাল কাটেনি শ্রেয়স আইয়ারের। অথচ বছরের শেষের দিকে সাফল্য যেন তাঁর পায়ে লুটোপুটি খাচ্ছে। মার্চে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কাঁধে চোট পাওয়ার পর বেশ অনেকটা সময় মাঠের বাইরেই কাটাতে হয়েছিল শ্রেয়সকে। চোটের জেরে কাঁধে অস্ত্রোপ্রচারও করতে হয় তাঁকে। তবে চোট সারিয়ে উঠে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বেশ ভাল ছন্দে ছিলেন শ্রেয়স। আর এ বার কানপুরে অভিষেক টেস্টে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শ্রেয়স।
আর সেই সঙ্গেই তিনি স্পর্শ করে ফেলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। এত দিন ধোনিই ছিলেন একমাত্র প্লেয়ার, যিনি টেস্ট, ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অভিষেক ম্যাচে ৫০ বা তার বেশি রান করেছিলেন। এ বার সেই তালিকায় নাম যোগ করে ফেললেন শ্রেয়স আইয়ারও। ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক ওডিআই-এ ৭০ বলে ৮৮ রান করেছিলেন শ্রেয়স। অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও তিনি ৫০-এর উপর রান করেছিলেন। আর কানপুরে অভিষেক টেস্টে তিনি শতরান করে ফেলেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ধোনিকে স্পর্শ করে নতুন মাইলস্টোন গড়ে ফেলেছেন শ্রেয়স।
এই বছর আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে ভালো পারফরম্যান্স করলেও, ম্যাচ ফিটনেসের অভাবে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের। তবে কিউয়িদের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে পুনরায় ভারতীয় দলে ফিরলেও সে ভাবে ছন্দে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
কিন্তু বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের অনুপস্থিতিতে এবং কেএল রাহুলের চোটের কারণে হঠাৎ করেই কানপুর টেস্টের প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে যান শ্রেয়স। আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি শ্রেয়স। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ১০৫ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন শ্রেয়স। তাঁর ইনিংসেই ভর করে ৩৪৫ রানে পৌঁছায় ভারত। শুভমন গিল ৫২ এবং রবীন্দ্র জাদেজা ৫০ করেন। এ ছাড়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন করেছেন ৩৮ রান। বাকিরা কিন্তু সে ভাবে ভারতকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। সেখানে শ্রেয়সের সেঞ্চুরি ভারতের কাছে বড় মুলধন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।