বর্তমান সময়ে করোনার জেরে কঠোর জৈব বলয় এবং নানা নিয়মের বেড়াজালে ক্লান্ত ক্রিকেটাররা। তাই সময় সময় তাদের বিশ্রামও দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্তদের বিশ্রাম দেওয়া হয়। এর ফলে ভারতীয় দলে প্রচুর নতুন মুখ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সুযোগ পাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের প্রমাণও করছেন।
তবে কিছুকাল আগেই ভারতীয় দলে এই রোটেশন পদ্ধতিটা খুব বেশি চোখে পড়ত না। তাই হাতে মাত্র ছয়টি ম্যাচ খেলেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল সিদ্ধার্থ কউলকে। তারপর বহুদিন ধরেই টিম ইন্ডিয়ার দরজা বন্ধ তাঁর জন্য বন্ধ। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেও তার স্বীকৃতি না মেলায় হতাশ কউল। সম্প্রতি Sports Yaari-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কউল স্পষ্ট জানান ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স এখন তেমন গুরুত্ব পায় না। তিনি নিজে গত মরশুমে পারফর্ম করলেও, জাতীয় দল তো দূর, ভারতীয় এ দলেও ডাক পাননি সিদ্ধার্থ।
এই নিয়ে হতাশ কউল বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটই (জাতীয় দলে) সুযোগ পাওয়ার মাপকাঠি হওয়া উচিত, কারণ অনেকেই আইপিএলে সুযোগ না পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফর্ম করে। কিন্তু সুযোগ পায় না। গত রঞ্জি মরশুমে আমি পাঁচ ম্যাচে ২৮ উইকেট নিই, যার মধ্যে তিনবার পাঁচ উইকেট এবং একটি হ্যাটট্রিকও সামিল ছিল। তা সত্ত্বেও কেউ গুরুত্বই দেয়নি। এমনকী ভারতীয় এ দলে পর্যন্ত আমার জায়গা হয়নি।’
এবার আইপিএল নিলামে ৩১ বছরের সিদ্ধার্থ কউলকে আরসিবি দলে নিয়েছে। নিজের দক্ষতা প্রদর্শনের ভাল মঞ্চ পাবেন কউল। সুযোগ না পেয়ে হতাশ হলেও নিজের কাজটা করে যেতে কিন্তু বদ্ধপরিকর কউল। ‘আমার কাছ হল পারফর্ম করা। সেটা করতে পারলেই মনে মনে আমি অন্তত সন্তুষ্ট হব। দলে নেওয়া বা না নেওয়া জাতীয় নির্বাচকদের কাজ। কিন্তু আমি ভাল খেললে আমি নিজে খুব খুশি হব। নিজের কাজ না করে সমালোচনা করাটা ভুল।’ মত ভারতের হয়ে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে খেলা কউলের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।