বড় রান করলেই যে টেস্ট জেতা যায় না, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের ২০টি উইকেট তোলার মতো রসদ দরকার হয় বোলিং লাইনআপে। শাকিব ও মুস্তাফিজুরকে ছাড়া বাংলাদেশের বোলিং কতটা দুর্বল, সেটা বোঝা গেল ক্যান্ডি টেস্টে।
সচারাচর ঘাড়ের উপর বড় রানের বোঝা চাপিয়ে দিতে পারলে যে কোনও প্রতিপক্ষকে দুমড়ে দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ হয়ে দাঁড়ায়। তবে পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশের ৫৪১ রানের বিশাল লক্ষমাত্রা তাড়া করতে নেমে উলটে লিড নিয়ে নেয় শ্রীলঙ্কা।
টেস্টের প্রথম আড়াই দিন ব্যাট করে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৫৪১ রান তোলে এবং শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে ডাকে। তামিম ৯০, নাজমুল ১৬৩ ও মোমিনুল ১২৭ রান করেন। বিশ্ব ফার্নান্ডো নেন ৪ উইকেট।
পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে ৬৪৮ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ক্যাপ্টেন করুণারত্নে ২৪৪ রান করেন। ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা করেন ১৬৬ রান। এছাড়া থিরিমানে ৫৮ রানের যোগদান রাখেন।
শ্রীলঙ্কা ১০৭ রানের লিড নিয়ে তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। শেষ দিনের বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার অল-আউট করার মতো সময় হাতে ছিল না শ্রীলঙ্কার। ম্যাচ যে ড্র'য়ের দিকে গড়াচ্ছে, সেটা বোঝা যাচ্ছিল আগে থেকেই। কার্যত নিয়ম রক্ষার দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুললে বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে খেলা শুরু না হওয়ায় ক্যান্ডি টেস্ট ড্র ঘোষিত হয়। তামিম দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। দুরন্ত ডাবল সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন করুণারত্নে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।