দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন শাহবাজ আহমেদ। বাংলাও তড়তড়িয়ে এগোচ্ছো। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে টানা ৪ ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়ে তারা নক আউটের জন্য নিজেদের রাস্তা পরিষ্কার করে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়কে হারানোর সুবাদে ৫ ম্যাচ শেষে বাংলার সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে তারা। শেষ ম্যাচ চণ্ডিগড়ের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ জিতলে তো কেল্লাফতে। না জিতলেও ক্ষতি নেই। কারণ বাংলা ইতিমধ্যে নক আউটে পৌঁছে গিয়েছে।
মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলছে ৩৮টি দল। এদের ভাগ করা হয়েছে পাঁচটি গ্রুপে। তিনটি গ্রুপে রয়েছে আটটি করে দল। দু’টি গ্রুপে সাতটি করে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষে থাকা দল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার সুযোগ পাবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাঁচটি দল এবং পয়েন্টের (অথবা নেট রানরেট) বিচারে একাদশ স্থানে থাকা দলের মধ্যে হবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল। সেখান থেকে তিনটি দল চলে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু নক আউট পর্বের ম্যাচ।
আরও পড়ুন: গোড়ালি ভেঙে SMAT থেকে ছিটকে গেলেন বেঙ্কটেশ, IPL 2023-এ খেলতে পারবেন KKR-এর হয়ে?
বৃহস্পতিবার ব্যাটে-বলে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন শাহবাজ আহমেদ। টানা ভালো খেলে চলেছেন শাহবাজ। বল হাতে প্রদীপ্ত প্রামাণিকও নজর কাড়লেন। তাঁর ৪ উইকেট, শাহবাজের ২ উইকেট, সঙ্গে আকাশ দীপেরও জোড়া উইকেট- ১৬২ তাড়া করতে নেমে ১০৮ রানেই অলআউট হয়ে গেল ছত্তিশগড়। ৫৩ রানে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা।
বৃহস্পতিবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলা করে ১৬১ রান। তোলে দুই ওপেনার রণজ্যোত সিং খয়রা এবং অভিমন্যু ঈশ্বরণ মিলে প্রথম উইকেটে ৪৩ বলে ৪৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ২০ বলে ২১ রান রণজ্যোত আউট হওয়ার কিছুক্ষমের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন অভিমন্যুও। তিনি ২৭ বলে ৩৩ রান করেন। এ দিন রণজ্যোত আউটহলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমেছিলেন করণলাল। তবে তিনি মাত্র ৯ বলে ১৬ রান করেন। বাংলা ৭৩ রানে ৩ উইকেট হারালে হাল ধরেন শাহবাজ। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন ঋত্ত্বিক রায় চোধুরি। ২৮ বলে ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তারকা অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। তাঁর ইনিংসে রয়েছে চারটি ছক্কা এবং ২টি চার।
আরও পড়ুন: সুনামীর নাম যশ,সঙ্গে নভদীপের আগুন,হায়দরাবাদ বধ দিল্লির,লড়াকু জয় পৃথ্বীর মুম্বইয়ের
শাহবাজ কিন্তু এই টুর্নামেন্টে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। বিশেষ করে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক হওয়ার পরে তাঁর আত্মবিশ্বাস যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। ঋত্বিক রায়চৌধুরী ২৪ বলে ৩১ রান করেন। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে বাংলা ৫ উইকেট হারিয়ে করে ১৬১ রান। ছত্তিশগড়ের হয়ে শুভম আগরওয়াল ৩ উইকেট নেন।
সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল ছত্তিশগড়। পরপর তারা উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ছত্তিশগড়কে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন রবি কুমার। ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ফিরিয়ে দেন ওপেনার শশাঙ্ক চন্দ্রকারকে। এর পর ছত্তিশগড় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে থাকলে শাহবাজ আহমেদ বড় তাদের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে দেন। ১১তম ওভারে বল করতে এসে পর পর দু’বলে দু’টি উইকেট তুলে নেন শাহবাজ। এর পর আর তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বাকি কাজটা করেন প্রদীপ্ত। একাই চার উইকেট তুলে নেন বাংলার স্পিনার। আকাশ দীপ নেন দু’ উইকেট। একটি উইকেট নেন মুকেশ কুমার। ৫৩ রানে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে বাংলা।
বাংলার পরের ম্যাচ চণ্ডিগড়ের বিরুদ্ধে শনিবার। সেই ম্যাচ জিতলে এক নম্বর জায়গা ধরে রেখে দাপটের সঙ্গেই কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে বাংলা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।