প্রায় ১৬ বছর আগে কথা। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে এক দিনের বিশ্বকাপে জঘন্যভাবে হেরেছে ভারত। সম্পূর্ণ নতুন দল নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা যায় একটি দল। ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই খুব বেশি আশা করেননি এই দলটিকে নিয়ে। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই দল জিতে নেয় প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
কিন্তু সেই ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব দেখা দেয় ভারতীয় দলের ক্রিকেটারের মধ্যে। যা এতদিন প্রকাশ্যে আসেনি। ১৬ বছর পর তা প্রকাশ্যে আনলেন আরপি সিং।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। সেই ম্যাচে হরভজন সিংয়ের সব ওভার শেষ করা হয়নি। সেই স্মৃতি মনে করে আরপি সিং বলেন, ‘সাধারণভাবে ইনিংসে ১৭তম ওভারে হরভজনকে বল দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ম্যাচে মিসবা-উল-হক অন্য মুডে ছিল। সেই সময় আমাদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব হয়। তাই আমরা পরিকল্পনা বদলাই। তাই হরভজনের চার ওভার সম্পূর্ণ করা যায়নি।’
তবে এই টুর্নামেন্ট এমএস ধোনির কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। নতুন রোডম্যাপ খুঁজে পায় ভারতীয় দল। সেখান থেকেই ২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ, ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার রূপরেখা তৈরি হয়। শুধু ফাইনালে মুখোমুখি হয়নি ভারত এবং পাকিস্তান, গ্রুপ পর্বেও মুখোমুখি হয়েছিল তারা। সেই ম্যাচটা আর পাঁচটা ম্যাচের মতো হয়নি। ম্যাচটি ড্র হওয়ায় বোল আউটে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় ভারত। ভারতের হয়ে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ বোল-আউটের প্রথমে বল করতে আসেন। বল উইকেটেও লাগান বীরু। তবে কেন নিয়িমিত বোলারদের না এনে পার্ট টাইম বোলারকে দিয়ে বল করালেন মাহি? এমন প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক করতে থাকে আরপি সিংয়ের।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত এসএ-২০ টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে আরপি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার আগে বোল-আউটের ক্ষেত্রে খুব বেশি মনোযোগ দিইনি। তবে প্রতিটি অনুশীলন সেশনের পরে লালচাঁদ রাজপুত এবং এমএস ধোনি উইকেটে ছয়টি বল করার জন্য প্রত্যেককে বল দিত। ধোনি এবং রাজপুত খেয়াল করত কে কেমন করছে। সবচেয়ে বেশি উইকেট কে শিকার করেছে। আর বীরেন্দ্র শেহওয়াগের ১০০ শতাংশ স্ট্রাইক রেট ছিল। সে কারণেই তাকে প্রথম বল দেওয়া হয়। আমরা শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম। আরও দুজন ছিল যারা বোল-আউটের জন্যও নির্বাচিত হয়েছিল, কিন্তু তাদের সেখানে বল করার দরকার ছিল না। তারা ইরফান পাঠান এবং শ্রীসন্ত। আমি সেই তালিকায় ছিলাম না।’