দলের খেলোয়াড়দের বাঁচাতে সবার সঙ্গে লড়তে রাজি ছিলেন সৌরভ। দাদার ক্যাপ্টেন্সি কেরিয়ারের বিশেষত্ব নিয়ে এমনটাই মত আশীষ নেহরার।
টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন পেসার চোট-আঘাতে জর্জরিত কেরিয়ারে সৌরভ ও ধোনির নেতৃত্বেই সবথেকে বেশি সময় কাটিয়েছেন জাতীয় দলে। আর এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়ার সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে নেহরা জানান, তাঁর চোখে সৌরভ ও ধোনি, দুই অধিনায়কের পার্খক্য কোথায়।
নেহরা বলেন, ‘সব ক্যাপ্টেনেরই আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। মিডিয়ার কাছ থেকে একটা প্রশ্ন আমাকে বার বার শুনতে হয়েছে যে, সৌরভ না ধোনি, ভারতের সর্বকালের সেরা ক্যাপ্টেন কে? আমি বরাবরই বলি যে, ২০০০-এর আগেও ভারত ক্রিকেট খেলত এবং কপিল দেব, সুনীল গাভাসকর, বেঙ্কটরাঘবন, অজিত ওয়াদেকরের মতো ক্যাপ্টেনরা ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
নেহরা আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমান সময়ে বাঁচতে পছন্দ করি। ভুলে যাই অতীতে কী হয়েছিল। আপনি যদি মহিন্দর অমরনাথ বা মদন লালকে এই প্রশ্ন করেন, তবে তাঁরা কপিল দেব বা সুনীল গাভাসকরের নাম নেবেন। সানি ভাইকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলবেন অজিদ ওয়াদেকর সেরা ক্যাপ্টেন। আমরা কেউ মহম্মদ আজহারউদ্দিনের কথা বলি না। অথচ আজহার তিনটি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে, যে কৃতিত্ব আর কারও নেই। সুতরাং সব প্রজন্ম আলাদা রকমের হয়।’
পরক্ষণেই সৌরভ সম্পর্কে নেহরা বলেন, ‘গাঙ্গুলির সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল নতুন একটা দল তৈরির। ধোনি সেদিক থেকে একটা তৈরি দল হাতে পেয়েছে। তাছাড়া ধোনি গ্যারি কার্স্টেনের মতো একজন অসাধারণ কোচ পেয়েছিল। ধোনির চ্যালেঞ্জ ছিল দলে একসঙ্গে অনেক সিনিয়রকে সামলানোর। তবে সৌরভ ও ধোনি, দু’জনেই দলের ক্রিকেটারদের থেকে সেরাটা বার করে আনত।'
শেষে নেহরা বলেন, ‘দাদার সব থেকে ভালো দিক হল, ও কিছু ক্রিকেটারকে চিহ্নিত করেছিল, যাদের জন্য সবার সঙ্গে লড়তে রাজি ছিল ও। নির্বাচকদের সঙ্গে তো বটেই, এমনকি বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও কথা বলত ক্রিকেটারদের সমর্থনের জন্য।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।