২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে সব ফরম্যাট মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট আট জন অধিনায়ক ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার মধ্যে প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং বর্তমান অল-ফরম্যাট অধিনায়ক রোহিত শর্মাও রয়েছেন। বিসিসিআই-এর নির্বাচক কমিটি এই বছরের শুরুতে ইঙ্গিত দিয়েছিল, তারা ভবিষ্যতে রোহিতের পরিবর্ত অধিনায়ক হিসেবে কয়েক জন প্লেয়ারকে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু এত ভারতীয় দলে এত বেশি নেতা পরিবর্তিত হয়েছে, তাতে অনেক বিশেষজ্ঞই এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই প্রসঙ্গে এ বার মুখ খুলেছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
জানুয়ারির শুরুতে কোহলি টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার পরপরই রোহিতকে ভারতের সর্ব-ফর্ম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়। এর পাশাপাশি ইঙ্গিত দেয় যে, কেএল রাহুল, ঋষভ পন্ত এবং জসপ্রীত বুমরাহ- এঁরা ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে টিম ম্যানেজমেন্টের নজরে রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাক 'সুপার ফাইভ' গুঁড়িয়ে দিতে পারেন ভারতকে, চিনে নিন সেই তারকাদের
রোহিত, পন্ত, বুমরাহ, রাহুল ছাড়াও ভারত হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং শিখর ধাওয়ানকেও অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিয়েছে। মাঝে অবশ্য গত নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কানপুর টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অজিঙ্কা রাহানে। হার্দিক আয়ারল্যান্ডে দু'টি টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন এবং ধাওয়ান উইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে দ্বিতীয় সারির দলকে নেতৃত্ব দেন।
ইন্ডিয়া টুডে-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা করে সৌরভ বলেছেন যে, অনেকগুলি আন্তর্জাতিক ম্যাচের সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড়দের ইনজুরি-ব্রেক দরকার হয়। আর এর সঙ্গেই ভারতীয় দলের দরজা তরুণ প্রতিভাদের সামনে খুলে যায়। তাঁরা নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পান।
আরও পড়ুন: জিম্বাবোয়ে সফর থেকে ছিটকেই গেলেন সুন্দর, ২বছরে এই নিয়ে পঞ্চম বড় চোট
বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের দাবি, ‘রোহিত শর্মা এখন অল ফরম্যাটের অধিনায়ক। তবে ওরা টানা অনেক ম্যাচ খেলে। চোট হতে বাধ্য। তাই ওদের ইনজুরি-ব্রেক দরকার। আর এতে সুবিধা হয় যে, ভারতীয় দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় সুযোগ পান। এবং আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ডে এই নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে জিতেছি। ভারতের কাছে এখন ৩০ জন খেলোয়াড়ের একটি পুল রয়েছে, যারা যে কোনও সময়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারে।’
এর আগে, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া এবং প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক সাবা করিম উভয়েই এই প্রবণতার পিছনে যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। করিম ইন্ডিয়া নিউ স্পোর্টসকে বলেছিলেন, ‘অধিনায়কত্বের ধারায় যে ধরনের পরিবর্তন হয়েছে তা অদ্ভুত এবং প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত খুব সতর্কতার সঙ্গে নেওয়া দরকার। তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। কারণ এটি একটি দলের পরিবেশের সঙ্গে জড়িত। আপনাকে দলগত মনোভাব তৈরি করতে হবে। একজন অধিনায়ক আসন্ন ম্যাচের জন্য নিজের পরিকল্পনার কথা ভাবতে শুরু করেন এবং তার পরে আপনি হঠাৎ করে পরিবর্তন করে দিলে, সেটা ক্রিকেটারের মনোবলকে প্রভাবিত করে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।