কোহলি সত্যি বলছেন নাকি সৌরভ? স্পষ্ট করে দিক BCCI প্রেসিডেন্ট, দাবি গাভাস্করের

সৌরভকে মিথ্যেবাদী বানিয়ে দিয়েছেন কোহলি। এই নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সৌরভের মুখ খোলা উচিত বলে মনে করেন ভারতের সুনীল গাভাস্কর। তাঁর দাবি, কোহলি এবং বোর্ডের মধ্যে দূরত্ব, এবং কোহলিকে একদিনের নেতৃত্ব থেকে সরানো নিয়ে যে অস্বচ্ছতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেটা দূর করে দেওয়া উচিত সৌরভেরই।

সুনীল গাভাস্কর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট কোহলি।

তাঁকে একদিনের নেতৃত্ব থেকে সরানো নিয়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের যাবতীয় যুক্তিকে ঘুরিয়ে মিথ্যে বলেই দাবি করেছেন ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কার্যত সৌরভকে মিথ্যেবাদী বানিয়ে দিয়েছেন কোহলি। এই নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সৌরভের মুখ খোলা উচিত বলে মনে করেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কর। তাঁর দাবি, কোহলি এবং বোর্ডের মধ্যে দূরত্ব, এবং কোহলিকে একদিনের নেতৃত্ব থেকে সরানো নিয়ে যে অস্বচ্ছতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেটা দূর করে দেওয়া উচিত বিসিসিআই প্রেসিডেন্টেরই।

এত দিন সৌরভ দাবি করে আসছিলেন, বোর্ড কোহলিকে বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক পদ থেকে সরে না যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু কথা শোনেননি বিরাট কোহলি। পরে নির্বাচকরা ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টির জন্য দু'টি আলাদা অধিনায়ক রাখার বিষয়টি মানতে চাননি। যে কারণে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে বিরাট সরে যাওয়ার পর একদিনের অধিনায়কত্ব থেকে তাঁকে সরাতে বাধ্য হয়েছে বোর্ড।

কিন্তু কোহলি বুধবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দেন, ‘আমি যখন বিসিসিআই-কে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে বলি, তখন ওরা সবটাই মেনে নেয়। টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব না ছাড়া নিয়ে আমাকে কেউ কোনও কথা বলেনি।’ সৌরভরা যা দাবি করছেন, সেটা পুরোটাই মিথ্যে, সেটা কোহলি পরিষ্কার করে দিয়েছেন।

এই বিতর্ক নিয়েই গাভাস্কর দাবি করেছেন, ‘কোহলির বক্তব্যের সঙ্গে বোর্ডকে অকারণে জড়ানোর দরকার নেই। ও কিন্তু একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে কথাগুলি বলেছে, যে দাবি করেছিল তাঁর সঙ্গে কোহলির কথা হয়েছে। হ্যাঁ, সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি। তাই ওকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত, কেন দু’জনের কথার মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। এই মুহূর্তে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ওই সব থেকে ভাল লোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর বিতর্ক যাতে না বাড়ে, তার জন্য স্বচ্ছতা আনা দরকার। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানের উচিত নিজে এগিয়ে এসে কেন কেউ বাদ গেল বা কেন কাউকে দলে নেওয়া হল, সেটা পরিষ্কার করা উচিত। একটা প্রেস বিবৃতিও জারি করে এর ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে।’

তবে কোহলির এই বক্তব্যের পর বোর্ডের এক কর্তা একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, কোহলির সঙ্গে সেপ্টেম্বর মাসেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব না ছাড়ার প্রসঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। কোহলিকে অন্ধকারে রেখে কিছুই করা হয়নি। কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে সেই নিয়ে বিতর্ক চলবেই।