অদ্ভূত যুক্তি দেখিয়ে সৌরভকে প্রথম বল খেলতে বাধ্য করতেন সচিন, নিজে থাকতেন নন-স্ট্রাইকে

কয়েকবার চালাকি করে তেন্ডুলকরকে স্ট্রাইকার প্রান্তে পাঠিয়েছিলেন মহারাজ।

সচিন তেন্ডুলকর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি- গেটি ইমেজেস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা ওপেনিং জুটির খোঁজ করলে সচিন-সৌরভের নাম অবধারিতভাবে সবার আগে উঠে আসবে। বিশেষ করে ওয়ান ডে ক্রিকেটে সচিন-সৌরভের ওপেনিং জুটির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।

১৯৯৬ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ১৩৬টি ইনিংসে ভারতের হয়ে ওপেন করতে নেমেছেন সচিন-সৌরভ। জুটিতে সংগ্রহ করেছে ৬৬০৯ রান। এখনও পর্যন্ত এই পরিসংখ্যানের ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি ওয়ান ডে'র আর কোনও ওপেনিং জুটি।

দু'জনের সাফল্যের রসায়ন নিয়ে বিস্তার চর্চা যেমন হয়, ঠিক তেমনই আলোচনায় উঠে আসে কিছু সংস্কারজাতীয় প্রসঙ্গও। সচিন-সৌরভ ওপেন করতে নামলে বেশিরভাগ সময় প্রথম বল খেলতে দেখা যেত সৌরভকে। সচিন থাকতেন নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে।

বিসিসিআইয়ের উদ্যোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌরভকে এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করার সুযোগ আসতেই এক অনুরাগী দাদার কাছে জানতে চান যে, এটা কী সত্যি, সচিন সবসময় তাঁকে প্রথম বল খেলতে বাধ্য করতেন?

সৌরভের সঙ্গে আলোচনায় মায়াঙ্ক আগরওয়াল অনুরাগীর প্রশ্ন বিসিসিআই সভাপতির সামনে তুলে ধরতে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, ও (সচিন) সবসময় এটা করত। এর জন্য ও একটা যুক্তিও তৈরি করে রেখেছিল। আমি মাঝে মাঝেই ওকে বলতাম যে, আমি সবসময় প্রথম বল খেলি। তুমিও তো কখনও প্রথম বল খেলতে পারো।'

পরক্ষণেই সৌরভ জানান এর পিছনে সচিন কী যুক্তি দেখাতেন। দাদার কথায়, ‘সচিনের কাছে দু’টো উত্তর থাকত নন-স্ট্রাইকে থাকার জন্য। প্রথমত, যখন ও ফর্মে থাকত, তখন ফর্ম বজায় রাখার জন্য ওর নন-স্ট্রাইকে থাকাই ভালো। দ্বিতীয়ত, ও ফর্মে না থাকলে বলত যে, নন-স্ট্রাইকে থাকলে ওর উপর চাপ কমবে। ফর্মে থাকুক বা না থাকুক, দু'টো ক্ষেত্রেই একই যুক্তি দেখাত সচিন।'

শেষে সৌরভ জানালেন, কীভাবে চালাকি করে সচিনকে কয়েকবার প্রথম বল খেলতে বাধ্য করেছিলেন তিনি। বোর্ড সভাপতি বলেন, 'কোনও একদিন যদি ওকে টপকে নন-স্টাইকার প্রান্তে দাঁড়িয়ে পড়া যেত, তবে ও বাধ্য হতো প্রথম বল খেলতে। এটা কয়েকবার হয়েছে। আমি ওকে টপকে নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে দাঁড়িয়ে পড়ি। যেহেতু লাইভ ম্যাচে ক্যামেরা ওর দিকে থাকত, তাই বাধ্য হয়েই স্ট্রাইকার প্রান্তে যেতে হতো ওকে।'