৮৩-র বিশ্বকাপ যদি হয় মাইলস্টোনের সূচনা, তবে নিঃসন্দেহে সৌরভের নেতৃত্বে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয় টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয় ভারতীয় ক্রিকেটমহলে। দীর্ঘ ১৮ বছর কেটে গেলেও লর্ডসে ন্যাটওয়েস্ট ফাইনাল নিয়ে গল্পের শেষ নেই। মাঝে মধ্যেই স্মরণীয় সেই ম্যাচ সম্পর্কে কোনও না কোনও তথ্য সামনে আসে।
ঠিক এরকমই টিম ইন্ডিয়ার প্রক্তন উইকেটকিপার অজয় রাতরা জানালেন, ইংল্যান্ডের ৩২৫ রানের বিশাল ইনিংস তাড়া করতে নামার আগে সচিন, সৌরভ ও দ্রাবিড় একসঙ্গে উদ্দীপ্ত করেছিলেন দলকে। ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে মাঠে না নামলেও চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন রাতরা।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে সেই সময় কার্যত অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছিল। তবে ক্যাপ্টেন হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কখনও হতদ্যম হতে দেননি দলকে। এমনকি ফাইনালে ভারতের ঘাড়ে বড় রানের বোঝা চাপিয়ে দিলেও অত্যন্ত ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে পালটা ব্যাটিং শুরু করেন সৌরভ নিজে। তার আগে ড্রেসিংরুমে থ্রি মাক্সেটিয়ার্স একযোগে স্থির করেন যে, জবাবি হামলায় স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাট করবে দল। পরে দেখা যাবে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় ম্যাচ।
রাতরা জানান, ১৮ বছর আগের পরিস্থিতিত এখনকার মতো ছিল না। তখন স্কোর বোর্ডে ৩০০ রান তুললে জয়ের বিষয়ে প্রায় নিশ্চিন্ত হয়ে যেত সব দল। ভারতীয় দলও যে চাপে ছিল না, তা নয়। তবে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ দীর্ঘ ছিল। তাই সেহওয়াগ ও সৌরভ আগ্রাসী শুরু করার পর দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। যদিও মাঝের দিকে পর পর উইকেট হারিয়ে ভারত আবার কোণঠাসা হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও যুবারাজ ও কাইফ প্রয়োজনীয় রানরেট কখনই বাড়তে না দেওয়ায় শেষমেশ জয় তুলে নেওয়া সম্ভব হয় টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে।
ইনিংসের বিরতিতে ড্রেসিংরুমের টিম মিটিং সম্পর্কে রাতরা বলেন, 'ইনিংস শুরুর আগে ড্রেসিংরুমের মানসিকতা খুব একটা ভালো ছিল না। তখন সৌরভ, সচিন ও দ্রাবিড় একসঙ্গে এসে বলে যে, টার্গেট যাই হোক, আমরা নিজেদের স্বাভাবিক থেলা খেলব। পরে দেখা যাবে ম্যাচ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। লক্ষ্যটা এভাবে সহজ করে দেওয়ায় গোটা দল উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।