আভাস ছিলই। ঘটলও সেটা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ থেকে বাদ পড়লেন ঋদ্ধিমান সাহা। এই ঘটনার জন্য ঋদ্ধি আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই ছিলেন। যে কারণে তিনি রঞ্জি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। তবে সরকারি ভাবে যেহেতু দল ঘোষণা হয়নি, তাই নিজেকে সামলে রেখেছিলেন। এই নিয়ে সে অর্থে কোনও বিস্ফোরণ এত দিন ঘটাননি।
কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্টে সিরিজের দলে তাঁর নাম না থাকার পরেই বিস্ফোরণ ঘটনালেন ঋদ্ধি। পরিষ্কার বলে দিলেন, ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে আগেই অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি ঋদ্ধি এ কথাও জানিয়েছেন, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে অশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, তিনি যতদিন আছেন, ততদিন বাংলার কিপারকে কোনও কিছু চিন্তা করতে হবে না। তার পরেও অবশ্য বাদ পড়েন ঋদ্ধি। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন শিলিগুড়ির পাপালি।
শনিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের ১৮ জনের যে টেস্ট টিম ঘোষণা হয়েছে, তাতে নাম নেই ঋদ্ধির। ঋদ্ধির বদলে দলে ঢুকেছেন কেএস ভরত। যেমনটা শেনা গিয়েছিল। কারণ ভরতকে পছন্দ করেন দ্রাবিড়। ঋষভ পন্তের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে রাখা হল ভরতকে। এর পরেই ঋদ্ধি বলেন, ‘এখন বলতে আর অসুবিধে নেই, রাহুল ভাই আমাকে বলেছিলেন, ভবিষ্যতে আমাকে আর ভারতীয় টিমের জন্য ভাবা হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময়ে আমাকে আকার-ইঙ্গিতে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যত দিন শরীর দেবে, খেলব।’ এর সঙ্গেই বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটার আরও বলেন, ‘নির্বাচক চেতন শর্মাও বলেছিলেন, আর তোমাকে ভারতীয় দলে নেওয়া হচ্ছে না ভবিষ্যতের জন্য। অনেকেই এমন আছে, যাদের বয়স হয়েছে, তবু খেলছে। নির্বাচকরা হয়তো ভেবেছেন, আমাকে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে দেখে নেওয়া উচিত। নতুন প্রতিভা দেখে নিতে চাইছে হয়তো।’
তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘাড়ে ব্যথা নিয়েও ৬১ রান করার পর সৌরভের থেকে আশ্বাস পেয়েছিলেন বলেই দাবি করেন ঋদ্ধি। বলেন, ‘কাঁধে অস্ত্রোপচারের পর আমি টিমে নিয়মিত ছিলাম না। পন্তকে যখন নিউজিল্যান্ড সিরিজে ছুটি দেওয়া হয়েছিল, আমি খেলেছিলাম। ঘাড়ের ব্যথা নিয়েও ৬১ করেছিলাম। দাদি আমাকে বলেছিল, আমি যতদিন আছি, তোকে চিন্তা করতে হবে না। দাদির কথায় আমি উদ্দীপ্ত হয়েছিলাম। তবে কী এমন ঘটল যে পরের টেস্টেই আমাকে বাদ দেওয়া হল। একটা সিরিজে কী এমন হল? হঠাৎ করেই কি আমার বয়সটা হঠাৎ করে বেশি বেড়ে গেল? আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না।’
তবে রঞ্জি এই মুহূূর্তে না খেললেও, বাংলা নকআউটে উঠলে বা পরের বছর যে ঋদ্ধি খেলবেন না, এমনটা কিন্তু মোটেও দাবি করছেন না বাংলার তারকা কিপার। তিনি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ‘পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্যই রঞ্জি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ভারতীয় টিমে যারা খেলে, তাদের সবাই যে যখন ফ্রি থাকে, তারা রঞ্জি খেলে। সেই কারণেই হয়তো চেতন শর্মা রঞ্জি খেলার কথা বলেছেন। একটা ব্যাপার পরিষ্কার করে দেওয়া উচিত, রঞ্জি আমি এই বছর খেলছি না। আগামী বছর খেলব না, তা তো বলিনি। বাংলা যদি নকআউটে ওঠে আমি খেলতেও পারি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।