ভারতের জন্য সুরক্ষিত বায়ো বাবলের প্রতিশ্রুতি দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের

মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা এ টিমের বিরুদ্ধে ব্লুমফন্টেনে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেছে ভারতীয় এ টিম। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে এখন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের জন্য তীব্র আতঙ্ক রয়েছে। ভারতের সিনিয়র দলের আবার ডিসেম্বরে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট, ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে ভারত রয়েছে তীব্র অনিশ্চয়তার মধ্যে।

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের জন্য হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেট টিমের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতকে সুরক্ষা দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে তারা। বিরাট কোহলিদের জন্য সুরক্ষিত জৈব সুরক্ষা বলয়ের ব্যবস্থা করবে বলে জানানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের তরফে। যদিও সম্প্রতি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ‘এই নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ জানা গিয়েছে,ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

 যদিও মঙ্গলবার থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকা এ টিমের বিরুদ্ধে ব্লুমফন্টেনে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেছে ভারতীয় এ টিম। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে এখন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের জন্য প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে। ভারতের সিনিয়র দলের আবার ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনটি টেস্ট সিরিজ সহ ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা রয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর থেকে প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। 

বিরাট কোহলি ব্রিগেডের ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছানোর কথা। তবে এখন এই সফর ঘিরে চূড়ান্ত অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ভারতীয় দলের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতীয় এ দল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের  পাশাপাশি দু'টি দেশের সিনিয়র দলকে সম্পূর্ণ জৈব-সুরক্ষিত পরিবেশে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’

এ দিকে সোমবার সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছিল, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের সব সময় কথা হচ্ছে। আমরা সিরিজ নিয়ে আশাবাদী। দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারও আমাদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। ভারতীয় দল এ দেশে এলে যাতে সব রকম সুরক্ষা পায় কারা, সেই বিষয়ে সব করব সাহায্য করবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।’

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দর্শকশূন্য গ্যালারিতে ম্যাচ আয়োজন করতে তৈরি রয়েছে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের তিনটি টেস্ট ম্যাচ, তিনটি একদিনের ম্যাচ এবং চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।