ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শেষ ম্যাচ ২৫ রানের জিতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের সেরা হয়েছে প্রোটিয় বোলার শামসি। এই সিরিজে তিনি নিজের বোলিং-এ বড়ই কিপটেমি করেছেন। তাঁর বলে গেইল, পোলার্ডরা সেভাবে রানই তুলতে পারেননি। তাই সিরিজে কিপটে বোলার নামেই পরিচিত হয়েছেন সিরিজের সেরা শামসি। তবে এদিনের ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন আইদেন মারক্রাম। এদিন মাত্র ৪৮ বলে তিনি করেছেন ৭০ রান। তাঁর এদিনের ইনিংসে ছিল চারটি ওভারবাউন্ডারি ও তিনটি বাউন্ডারি। তাঁর রানের সুবাদেই দক্ষিণ আফ্রিকা এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৬৮ রান তুলতে সক্ষম হয়।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ন্যাশানাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৮ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে যায় ৯ উইকেটে ১৪৩ রান করে। ২৫ রানের জয়ে সিরিজ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রেনাডায় টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে প্রোটিয়ারা। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৮ রানের জুটি গড়েন কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মারক্রাম। ডি কককে শিকার করে এই জুটি ভাঙেল ফিদেল এডওয়ার্ডস। টানা তিন ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো ডি কক করেন ৪২ বলে ৬০ রান। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কা। ইনিংসের ১৭তম ওভারে মারক্রাম ফেরেন ৪৮ বলে ৭০ রান করে। তার ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান ওবেড ম্যাককয়। ডি কক ফেরার পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার রানের গতি কিছুটা কমে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। ডেভিড মিলার অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ১৮ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজও শুরুতেই লিন্ডল সিমন্সকে হারায়। দ্বিতীয় উইকেটে এভিন লুইস ও ক্রিস গেইলের জুটিতে ৪৫ রান আসলেও সেখানে গেইলের অবদান ছিল ৯ বলে ১১ রান মাত্র। তাবরেজ শামসির শিকার হন গেইল। এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৪৩। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাবরিজ শামসি। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করে নিয়েছেন ১টি উইকেট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।