অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ভারতীয় ক্রীড়ামহলে। চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউনে সারা দেশে আগের মতোই বিধিনিষেধ জারি থাকলেও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হল ক্রীড়াক্ষেত্রে। যদিও সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমীরদের এখনও খেলাধুলো বা খেলোয়াড়দের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে।
আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সারা দেশে বর্ধিত করা হয়েছে লকডাউন। চতুর্থ পর্যায়ের এই লকডাউনের যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে, তাতে স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও স্টেডিয়ামগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও শর্তসাপেক্ষে। প্রধান শর্ত এই যে, স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও স্টেডিয়ামগুলিকে দর্শকশূন্য হতে হবে।
যার অর্থ, ক্রীড়াবিদদের অনুশীলনে ফিরতে অসুবিধা রইল না। বিশেষ করে স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি মেলায় খেলোয়াড়দের আউটডোর ট্রেনিংয়ের রাস্তা খুলে গেল।
বিসিসিআইয়ের কাছে সরকারি তরফে ইঙ্গিত ছিল আগে থেকেই। তাই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আগেই স্থির করে রেখেছিল যে, ১৮ মে'র পর থেকে টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের নিকটবর্তী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হবে। যা ইঙ্গিত, তাতে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ব্যাট-বল হাতে অনুশীলনে ফিরতে অসুবিধা হবে না।
যদিও লকডাউনের শর্ত শিথিল হলেও আইপিএলের মতো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা এখনই সম্ভব নয়। কেননা সরকারি তরফে খেলাধুলো-সহ যে কোনও বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছে। এটাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে, প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলো শুরু করা যাবে কিনা। তাছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবার উপর যথারীতি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।
স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও স্টেডিয়ামগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সম্ভবত অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করার সম্ভাবনা থাকা অ্যাথলিটদের অনুশীলনের কথা ভেবেই। গত সপ্তাহেই ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু অ্যাথলিটদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা সারেন। সাই কমপ্লেক্সগুলির তরফেও ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল সেগুলি খোলার অনুমতি দেওয়ার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।