আর পাঁচজন ভারতবাসীর মতো ক্রিকেট ভালোবাসেন হিমা দাস। সচিন তেন্ডুলকরের ভক্ত ছোটবেলা থেকেই। নিজে অন্য জগতের মানুষ হলেও পরবর্তী সময়ে তেন্ডুলকরকেই রোল মডেল করে সাফল্যের খোঁজে দৌড় শুরু করেন অসমের অ্যাথলিট।
করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনে জন্য খেলাধুলো বন্ধ। সেই অর্থে অনুশীলনের সুযোগও নেই। এমন অলস সময়ে ক্রিকেটার সুরেশ রায়নার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে কথা বলার সময় হিমা দাস জানালেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু তথ্য।
রায়নাকে হিমা বলেন, রোল মডেল সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে দেখা করাটাই তাঁর জীবনের সেরা স্মৃতি। তিনি কখই ভুলবেন না এই বিশেষ মুহূর্তটার কথা।
হিমার কথায়, 'ওঁর (সচিনের) প্রত্যেকটা কথা আমার মনে আছে। যখন প্রথমবার দেখি, কেঁদে ফেলেছিলাম প্রায়। আমার জীবনের এটাই সেরা মুহূর্ত। নিজের রোল মডেলের সঙ্গে দেখা করা সবার কাছেই বড় প্রাপ্তি। কখনও ভোলা সম্ভব নয় সেই মুহূর্তটা।'
নিজের প্রসঙ্গে হিমা জানান, '২০১৮ এশিয়ান গেমসের পর অ্যাথলেটিক্সের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তাই যখন লোকে আমার নাম ধরে চিৎকার করে, বাড়তি অনুপ্রেরণা পাই। চোট সারিয়ে আপাতত আমি সম্পূর্ণ ফিট। চেষ্টা করছি নিজেকে প্রস্তুত রাখার, যাতে লকডাউন উঠলে পুরো দস্তুর ট্র্যাকে নেমে পড়তে পারি। অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় প্রস্তুতির বাড়তি সময় পাব।'
এসবের বাইরে হিমা মন ছুঁয়ে যাওয়া একটি গল্প শোনান রায়নাকে। তিনি বলেন, 'ছোটবেলায় খালি পায়ে দৌড়তাম। তখন জুতো কেনার টাকা ছিল না। তবে প্রথমবার যখন ন্যাশনালে দৌড়তে যাব, বাবা অনেক কষ্ট করে একজোড়া জুতো কিনে দিয়েছিলেন। তাতে স্পাইকও ছিল। নিতান্ত সাধারণ মানের জুতো। আমি জুতোর উপর নিজের হাতে লিখেছিলাম Adidas। ভাগ্য আপনাকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারে, আপনি নিজেও জানেন না। এখন Adidas আমার জন্য জুতো বানায়, যাতে আমার নাম লেখা থাকে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।