বছর তিনেক আগে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রণতুঙ্গা। কিছুদিন আগে প্রশ্ন তোলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দা আলুথগামাগে। ২০১১ আইসিসি বিশ্বকাপের ফাইনালে গড়াপেটা হয়েছিল বলে দাবি করেন দু'জনেই।
রণতুঙ্গার দাবি নিয়ে সেই সময় বিশেষ জলঘোলা না হলেও ২০১১ বিশ্বকাপের সময়কার ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগ ভালোভাবে নেয়নি শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রক। তাই সরকারি তরফে গড়াপেটার অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই শ্রীলঙ্কা পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় অরবিন্দ ডি সিলভাকে, যিনি বিশ্বকাপের সময় শ্রীলঙ্কার নির্বাচক প্রধান ছিলেন। ডি সিলভা নিজেও জানিয়েছিলেন যে, এমন অভিযোগ কখনই সত্যি নয়। তবে যাতে লোকে মিথ্যা অভিযোগ আঁকড়ে পড়ে না থাকে, তাই এর তদন্ত হওয়া দরকার।
শ্রীলঙ্কা পুলিশ ডি সিলভাকে ৬ ঘণ্টা জেরা করে। ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের ভূমিকা পালন করা কুমার সাঙ্গাকারাকে, যিনি এই মুহূর্তে এমসিসির সভাপতি। সাঙ্গাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের বাইরে জনতা রীতিমতো বিক্ষোভ দেখায়।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় উপুল থরঙ্গা ও মাহেলা জয়াবর্ধনেকেও, যাঁরা শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে খেতাবি লড়াইয়ে শতরান করা জয়াবর্ধনের সঙ্গে কথা বলার পরেই শ্রীলঙ্কা পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে গড়াপেটার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এও জানানো হয় যে, তদন্তে এখানেই ইতি টানা হচ্ছে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে হঠাৎ পটপরিবর্তন নিয়ে ১৪ দফা প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী। যার সদুত্তর খোঁজার লক্ষ্যেই সাঙ্গাকারাদের ডাকে পুলিশ। ক্রিকেটারদের যুক্তিসঙ্গত জবাবে সন্তুষ্ট পুলিশ। তাই ক্রীড়ামন্ত্রকে অবিলম্বে তারা রিপোর্ট দিচ্ছে তদন্ত বন্ধ করার।