বাংলা নিউজ > ময়দান > 'ব্যান, কার্ফুতে কিছু হবে না', IPL-র মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকারকে আক্রমণ সাঙ্গাকারার

'ব্যান, কার্ফুতে কিছু হবে না', IPL-র মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকারকে আক্রমণ সাঙ্গাকারার

'ব্যান, কার্ফুতে কিছু হবে না', IPL-র মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকারকে আক্রমণ সাঙ্গাকারার। (ফাইল ছবি সৌজন্যে রাজস্থান রয়্যালস এবং রয়টার্স)

বিক্ষোভ ঠেকাতে শ্রীলঙ্কায় ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান বা কার্ফুতে বাস্তব সমস্যার কোনও সমাধান হবে না। বরং চরম অর্থনৈতিক সংকটের জেরে দেশের মানুষকে যে ভুগতে হচ্ছে, তা সমাধানের জন্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সংকটের মধ্যে গোতাবায়া রাজাপক্ষকে এভাবেই তোপ দাগলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা। তাঁর প্রশ্ন, প্রকৃত সমস্যার সমাধান কোথায় করা হচ্ছে?

রবিবার দুপুরে কলম্বোর এক সাংবাদিক টুইটারে জানান, শ্রীলঙ্কার প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে যে আজ দুপুর ৩ টে ৩০ মিনিট থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। সেই টুইটের প্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কার সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তথা রাজস্থান রয়্যালসের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট এবং হেড কোচ সাঙ্গাকারা বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও নিষেধাজ্ঞা, কার্ফু বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে বাস্তব সমস্যার সমাধান হবে না। মানুষ যেভাবে ভুগছেন এবং দেশে যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, সেটাই হল বাস্তবের জরুরি অবস্থা। যাঁরা এই সরকারকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরা-সহ পুরো দেশই প্রকৃত সমাধানের দাবি জানাচ্ছে। সেটা কোথায়?'

শ্রীলঙ্কায় কী অবস্থা?

গত কয়েকদিন ধরে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার মানুষ। আকাল দেখা দিয়েছে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীয় দাম লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছে। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এতটা ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখে পড়তে হয়নি ২.২ কোটি জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশকে।

সেই পরিস্থিতিতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পরিস্থিতি কার্যত রাজাপক্ষে সরকারের হাতের বাইরে চলে যায়। পদত্যাগের দাবিতে হাজার-হাজার মানুষ শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। যা পরবর্তীতে হিংসাত্মক রূপ নেয়। দুটি সামরিক গাড়ি, পুলিশের জিপ, দুটি প্যাট্রোলিং মোটরসাইকে এবং একটি তিনচাকার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। কমপক্ষে দু'জন বিক্ষোভকারী আহত হন। পুলিশ জানিয়েছিল, ৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাঁচজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ এবং সেনা। যে অভিযোগ তদন্ত করে দেখবে বলে দাবি করে সরকার। তাতে অবশ্য বিক্ষোভে লাগাম পড়েনি। শুক্রবারও চলতে থাকে বিক্ষোভ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার রাতের দিকে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি। জরুরি অবস্থার ঘোষণার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় কড়া আইন কার্যকর করেছেন গোতাবায়া, যে আইনের আওতায় বিচার ছাড়াই যে কোনও ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন আটকে বা গ্রেফতার করে রাখার ছাড়পত্র দেওয়া হয় সেনাকে। সেইসঙ্গে সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে কার্ফু। বিক্ষোভ ঠেকাতে ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া।

বন্ধ করুন