শুভব্রত মুখার্জি
২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের মনের মণিকোঠায় স্থান পাবেন চিরকাল। ওয়াংখেড়েতে সেই ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার হয়ে ইনিংস ওপেন করেছিলেন উপুল থারাঙ্গা এবং তিলকরত্নে দিলশান। জাহির খানের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ক্যাচ ধরে সেই ম্যাচে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়েছিলেন উপুল থরাঙ্গাকে। সামাজিক মাধ্যমকে সাক্ষী রেখে সেই শ্রীলঙ্কান ওপেনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন।
সামাজিক মাধ্যমে উপুল থারাঙ্গা লিখেছেন, 'আমার প্রিয় বন্ধুরা কথায় বলে সব ভালো কিছুর একটা শেষ আছে। ১৫ বছরের বেশি সময় খেলাটাকে আমার সেরাটা দেওয়ার পর বিশ্বাস করি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার সন্ধিক্ষণ এসেছে।' অনেক স্মৃতি ও বন্ধুদের সঙ্গে পথচলা পিছনে ফেলে এসেছি। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রতি কৃতজ্ঞ আমার প্রতি বিশ্বাস রাখার জন্য। আমি কৃতজ্ঞ ক্রিকেটপ্রেমী, বন্ধু, পরিবারের প্রতি। আমার কেরিয়ারের উত্থান-পতনের সময় আমার পাশে থাকার জন্য। আপনাদের শুভকামনা, আমার স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছে। সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের জন্য শুভকামনা জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন জাতীয় দল দুর্দান্তভাবে প্রত্যাবর্তন করবে। শ্রীলঙ্কা ও এশিয়া একাদশের হয়ে ৩১টি টেস্ট, ২৩৫ টি একদিনের ম্যাচ ও ২৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ লেছেন থারাঙ্গা। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে যথাক্রমে ১৭৫৪, ৬৯৫১ ও ৪০৭ রান। টেস্টে তিনটি এবং একদিনের ক্রিকেটে ১৫টি শতরান করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি তাঁর ঝুলিতে রয়েছে আটটি টেস্ট ও ৩৭টি ওয়ানডে অর্ধশতরান।
একদিনের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় অষ্টম স্থানে আছেন। ২০০৫ সালের ২ আগস্ট ডাম্বুলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। টেস্টে ২০০৫ সালে আমদাবাদে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার হয়ে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন ২০১৯ সালে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।