শুভব্রত মুখার্জি
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের কাছে আইপিএল ২০২০-র এলিমিনেটরে হারার পরেই পরবর্তী অস্ট্রেলিয়ার সফরের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয়ে ইতিমধ্যেই প্রবেশ করে গেছেন বিরাট স্বয়ং। তার সঙ্গে রাহুল, মায়াঙ্ক, শামি, পূজারা, বিহারীও ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছেন জৈব সুরক্ষা বলয়ে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস পরিবার পরিজন ছেড়ে এই বায়ো বাবলে থাকা একেবারেই সহজ কাজ নয়। তা উপলব্ধি করেন সকলেই। বায়ো বাবলে দীর্ঘদিন থাকার ফলে মনের উপর কেমন প্রভাব পড়ে তা জানালেন ভারত তথা আরসিবির অধিনায়ক কোহলি।
বিরাট কোহলির এই মুহূর্তের ধ্যানজ্ঞান তাঁর পরবর্তী অস্ট্রেলিয়া সফর। করোনা পরবর্তীতে তিনি এবার দেশের জার্সিতে নামবেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দায়িত্ব আরও অনেক বেশি।
দুবাই থেকে ভারতীয় ক্রিকেটাররা সরাসরি যাবেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ করে চার মাস বাড়ির বাইরে থাকতে হবে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের। অস্ট্রেলিয়া সফর শেষ করে দেশে ফিরতে জানুয়ারি মাস হবে। আইপিএলের কারনে ক্রিকেটাররা আগে থেকেই রয়েছেন জৈব সুরক্ষা বলয়ে। দুবাই থেকে অস্ট্রেলিয়া গিয়েও থাকতে হবে বায়ো বাবলে। বন্দিদশা অবস্থায় দীর্ঘদিন থাকলে মনের ওপর তার প্রভাব পড়বেই। তাই সিরিজ ছোট করার আর্জি জানিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
প্রসঙ্গত, এর আগে বেন স্টোকস, জোফ্রা আর্চারের মতো তারকারা বিরাটের সু্রেই কথা বলেছিলেন।বায়ো বাবলে বেশিদিন থাকলে মনের উপর প্রভাব পড়ে বলে দাবি তাঁদেরও। দিনের পর দিন এক কাজ করতে হয় বলে একঘেয়ে জীবন। কোহলি আরসিবির ইউটিউব চ্যানেলে বললেন, 'বায়ো বাবলে থাকা মানে একঘেয়ে জীবন। এক কাজ দিনের পর দিন করতে হয়। প্রায় ৮০ দিন বাড়ির বাইরে থাকব।এতদিন ধরে একই কাজ করে যাওয়াটা একঘেয়ে! সিরিজের মাঝে ছুটি দিয়ে কোথাও ঘুরে আসা গেলে বা পরিবারের সঙ্গে দেখা করা গেলে ভাল হয়। না হলে এবার থেকে সিরিজ ছোট করার কথা ভাবতে হবে ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে। দুবাইয়ে আইপিএলের সময় আমরা রোজই বিভিন্ন খেলায় মেতে থাকতাম। হই-হুল্লোড় করলেও বায়ো বাবলে থাকাটা বিরক্তিকর। এখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ফের বায়ো বাবলে থাকতে হবে। আবার সেই একঘেয়ে জীবন।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।