বিগত দুই বছর ধরে বর্তমান বিশ্বের সেরা দুই ব্যাটার স্টিভ স্মিথ ও বিরাট কোহলির ব্যাটে শতরানের খরা। ২০১৯ সালে ম্যাঞ্চেস্টারে ২১১ রানের ইনিংসের পর টেস্টে শতরান নেই স্মিথের। কোহলি তো একই বছরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্টে ১৩৬ করার পর সব ফর্ম্যাটে ৭২টি ইনিংস খেলেও শতরান পাননি। এই নিয়ে দুই বর্তমান গ্রেটকে ঠুকলেন পাক প্রাক্তনী রশিদ লতিফ।
লাহোরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫৯ রান করার পর স্মিথ আউট হলেই আবার এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। ৫৯ রানের পাশাপাশি স্মিথ পাকিস্তান সফরে ৭৮ ও ৭২ রানেরও দু'টি ইনিংস খেলেন স্মিথ। কোহলি শতরান না করলেও দুই বছরে সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে ২২টি অর্ধশতরান করেছেন। বাকিদের জন্য এই রেকর্ড খারাপ তো নয়ই, বরং বেশ ভাল। তবে কোহলি-স্মিথদের স্তর আলাদা। তাঁরা নিজেদের আলাদা জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। সেই কারণেই এত সমালোচনা।
দুই তারকার রানের খরার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে লতিফ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানান, ‘আমার মতে ঘরের মাঠে ওরা অনেক সহজ পিচে পায়। ব্যাট হাতে রান করতে পরিবেশ ও পরিস্থিতি ওদের সহায়ক হওয়া দরকার। স্মিথ তো পরপর দুইটি দারুণ বাউন্ডারি মারে। তবে কভার বা মিড উইকেট না থাকলে, ওর সামনে ফিল্ডার না থাকলেও ও ভাল খেলছিল। একবার সেই জায়গাগুলিতে ফিল্ডার রেখে দেওয়া হলেই ও আর রান করতে পারে না।’
পরিবেশ সহায়ক না হওয়ায় এবং ফিল্ডাররা মজবুত জায়গায় থাকার ফলেই রান ভাটা পড়ছে এবং দুই তারকা শতরান পাচ্ছেন না বলে দাবি লতিফের। ‘ফিল্ড প্লেসিংটা ওকে (স্মিথ) ভীষণ পরিমাণে চাপে ফেলছে এবং তার জন্য ২৫-৩০ রান কম করছে ও। ফলত শতরানও হচ্ছে না। বিরাট কোহলিরও একই সমস্যা, পিচের ব্যাপারটা ওর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে ওরা আবার বড় রান করবে এবং একবার শুরু করলে রান করতেই থাকবে।’ দাবি তাঁর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।