দীপ্তি শর্মার মানকাডিং নিয়ে স্পিরিটের পাঠ পড়াতে গিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। তাঁকে চূড়ান্তভাবে ট্রোল করে দিলেন ভারতীয় নেটিজেনরা। পিছিয়ে থাকলেন না প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ডোডা গণেশও। স্পিরিটের বুলি আওড়ানো ব্রডকে স্মরণ করিয়ে দিলেন, পরিষ্কার ব্যাটে লাগা সত্ত্বেও উইকেট ছেড়ে যাননি।
শনিবার লর্ডসে দীপ্তির মানকাডিংয়ের পরে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের ফলাফল নিয়ে আইসিসির তরফে টুইট করা হয়। তাতে লেখা হয়, ‘নন-স্ট্রাইকার এন্ডে রান-আউট (আইন অনুযায়ী, এখন মানকাডিং বলা হয় না, রান-আউট বলা হয়) এবং ভারত জিতে গেল।’ তাতে ইংল্যান্ডের তারকা পেসার ব্রড বলেন, ‘একটা রান-আউট? জঘন্যভাবে ম্যাচটা শেষ হল।’
ব্রডের সেই টুইটের পালটা দেন ভারতীয় নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলতে থাকেন, একজন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় যে ক্রিকেটেরই নিয়ম জানেন না, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। সেইসঙ্গে অনেকেই ব্রডের ‘অসাধারণ স্পোর্টসম্যানশিপ’-র কথা স্মরণ করিয়ে দিতে ছাড়েননি। একইসুরে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ডোডা বলেন, 'ব্যাটে লেগে বল প্রথম স্লিপে জমা পড়ার পরও কিছু না হওয়ার ভান করে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকাটা আসলে জঘন্য, একটা রান-আউট নয়। আমার মনে হচ্ছে, ছেলেকে ক্রিকেটের নিয়মকানুন শেখানো উচিত ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের (স্টুয়ার্ট ব্রডের বাবা আইসিসির ম্যাচ রেফারি)।'
কোন ঘটনার কথা বলেছেন ডোডা?
ডোডা যে ঘটনার উল্লেখ করেছেন, সেই ঘটনার জন্য পিছিয়ে যেতে ২০১৩ সালের জুলাইয়ে। টেন্টব্রিজে অ্যাসেজের প্রথম টেস্টে অ্যাস্টন অ্যাগারের একটি বল পরিষ্কার ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপের দিকে গিয়েছিল। বল তালুবন্দি করেছিলেন তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। উচ্ছ্বাসেও মেতে উঠেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। কিন্তু আম্পায়ার আলিম দার আউট দেননি। ‘সততার প্রতীক’ ব্রড তখন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাননি। বরং এমন ভাব করছিলেন যেন তাঁর ব্যাট ট্রেন্টব্রিজে আছে, বল গিয়েছে লর্ডস দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার হাতে কোনও ‘ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম’ পড়ে না থাকায় ভুল শোধরানো যায়নি।
চূড়ান্ত অখেলোয়াড়সুলভ মনোভাবের জন্য সেইসময় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ব্রড। যদিও পরে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাফাই গেয়েছিলেন 'সততার প্রতীক' ইংরেজ তারকা। দ্য মিররের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রড বলেছিলেন যে 'আমি হেঁটে বেরিয়ে যাব, এমন কোনও অভিপ্রায় ছিল না। আমি যদি করতাম, তাহলে আমরা হেরে যেতাম। আমি কোনওদিন (আম্পায়ার আউট না দিলেও) মাঠ থেকে বেরিয়ে যাব, এরকম ধরণের খেলোয়াড় ছিল না। আম্পায়ার আউট না দিলে কেন বেরিয়ে যাব?'
সেখানেই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। তাঁদের বক্তব্য, লর্ডসে ভারত-ইংল্যান্ডের তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ক্রিকেটের আইনের মধ্যে থেকেই মানকাডিং করেছেন দীপ্তি। ৪৪ তম ওভারে বল করার সময় ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটারকে আউট করেন। তার ফলে ১৬ রানে জিতে যায় ভারত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।